বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘শাসক দলের ধারে কাছেও আমি থাকতে চাই না’, রাসমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহর (Udayan Guha) পাশে দাঁড়িয়ে এহেন বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গেল ‘দ্যা গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন’-র নেতা অনন্ত মহারাজকে (Ananta Maharaj)। তাঁর এই মন্তব্যের পর তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congrees) সঙ্গে মহারাজের সম্পর্ক ঘিরে ইতিমধ্যেই জোর জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, অতীতে বিধানসভা নির্বাচন হোক কিংবা লোকসভা নির্বাচন, বিজেপির হয় প্রচার করতে দেখা গিয়েছে অনন্ত মহারাজকে। শুধু তাই নয়, বাংলা ভাগের দাবি করার পাশাপাশি কয়েকদিন পূর্বে বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিকের বাড়িতে পৌঁছে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন তিনিম পরবর্তীতে বৈঠক শেষে বেরিয়ে তিনি বলেন, “পৃথক রাজ্যের ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। কার্যকর হওয়া কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা।”
পরবর্তীতে অনন্ত মহারাজের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দেয়। তবে কি বাংলা ভাগ হতে চলেছে? যদিও এই প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করেননি নিশীথ প্রামাণিক। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপির সঙ্গে একদিকে যখন মজবুত সম্পর্ক রয়েছে ‘মহারাজ’ অনন্ত রায়ের, আবার অপরদিকে তাঁর সঙ্গে সখ্যতা বজায় রাখতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও তাদের সেই আশায় জল ঢেলে রাসমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি বলে, “শাসক দলের ধারে কাছেও থাকতে চাই না আমি। রাসমেলা ধর্মীয় অনুষ্ঠান বলে এখানে অংশগ্রহণ করেছি।”
উল্লেখ্য, মহারাজের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, “তৃণমূল কর্মীরা ভোট টানতে পারেন। তারা যদি একসঙ্গে থাকতে পারে, তাহলে অন্য কারোর ভোটের প্রয়োজন নেই।”
যদিও অনন্ত মহারাজ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের এই সখ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের একটা অংশ। তবে অপরদিকে তৃণমূলের উপরের অংশের দাবি, শাসকদলের সঙ্গে সখ্যতা থাকার কারণেই বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটেন নি অনন্ত মহারাজ। সেই সূত্রে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক আরো মজবুত হলে নির্দিষ্ট একটি ভোট ব্যাঙ্ক বিজেপির থেকে নিজেদের দিকে টানতে সক্ষম হবে তৃণমূল কংগ্রেস।