বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চুরিতো অনেক রকম হয়। কিন্তু এ যেন অবাক করা চুরি। রাতের অন্ধকারে রেলের যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনা এই প্রথমবার নয়, আগেও বহুবার ঘটেছে। বিহারে (Bihar) চোরেরা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে, যা শুনলে হতবাক হবেন আপনিও। কিছুদিন আগে রোহতাসে ৫০০ টন ওজনের একটি লোহার সেতু চুরির পর আরও এক অবাক করা ঘটনা ঘটিয়েছে বিহারের চোরেরা। এবার চোরেদের দল টানেল বানিয়ে পুরো রেলের ইঞ্জিনই উধাও করে দিয়েছে।
মুজাফফরপুরের (Muzaffarpur) একটি স্ক্র্যাপ দোকান থেকে উদ্ধার হওয়া কয়েকটি ব্যাগে ট্রেনের ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ পাওয়া গেছে। তখনই জানা যায় বারৌনিতে (বেগুসরাই জেলা) (Begusarai District ) সুড়ঙ্গ তৈরি করে পুরো ইঞ্জিন উধাও করে দিয়েছে ধূর্ত চোরেরা।
পুলিশের মতে, গত সপ্তাহে চোরের দল একটি ট্রেনের পুরো ডিজেল ইঞ্জিন চুরি করে যা বারৌনির (বেগুসরাই জেলা) গড়হারা ইয়ার্ডে মেরামতের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় । ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ তিনজনকে আটক করে এবং তাদের তথ্যের ভিত্তিতে, তারা মুজাফফরপুরের প্রভাত কলোনির একটি স্ক্র্যাপ গুদাম থেকে ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশের মোট ১৩ টি ব্যাগ উদ্ধার করে। এরপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন।
এবিষয়ে একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার বলেন, আশ্চর্যের বিষয় হল আমরা ইয়ার্ডের কাছেই একটি টানেল পেয়েছি, যেখান দিয়ে চোরেরা এসে ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ চুরি করত এবং যা তারা ব্যাগে করে নিয়ে চম্পট দিত । কিন্তু রেলওয়ের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সম্পূর্ণ বেখবর ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি পূর্ণিয়া জেলায় এরূপ আরও এক চুরির ঘটনা ঘটেছে । চোরেরা একটি সম্পূর্ণ ভিনটেজ মিটার গেজ স্টিম ইঞ্জিন বিক্রি করে দেয়, যা রেল কর্তৃপক্ষ দ্বারা জনসাধারণের প্রদর্শনের জন্য স্থানীয় রেলওয়ে স্টেশনে স্থাপন করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, বিহারের উত্তর-পূর্ব আরারিয়া জেলার সীতাধর নদীর উপর একটি লোহার সেতুর তালা খুলেছে আরেক দল। সেতুর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশ অনুপস্থিত হওয়ায় পুলিশ এ বিষয়ে বিস্মিত।
ফোর্বস গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্মল কুমার যদ্বেন্দু গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা সেতুটির নিরাপত্তার জন্য একজন কনস্টেবল মোতায়েন করেছি, যাতে এটি নিরাপদ থাকে। পরপর হতবাক করা এসব চুরির খবরে চিন্তায় পুলিশ প্রশাসন।