বাংলা হান্ট ডেস্ক : সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। নেপালে (Nepal) গত এক দশকে হিন্দু ও বৌদ্ধদের জনসংখ্যা কিছুটা কমেছে, অন্যদিকে মুসলমান ও খ্রিস্টানদের জনসংখ্যা সামান্য বেড়েছে। দেশের সর্বশেষ আদমশুমারি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শনিবার নেপালের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো ২০২১ সালের আদমশুমারি প্রতিবেদনে জানিয়েছে নেপালে (Demography of Nepal) হিন্দুধর্ম প্রধান ধর্ম, মোট জনসংখ্যার ৮১.১৯ শতাংশ নেপালি জনসংখ্যার হিন্দু।
আর কী জানা যাচ্ছে রিপোর্টে? দুই ধর্মের মানুষের সংখ্যা বেড়েছে নেপালে। বৌদ্ধধর্মাবলম্বী মানুষের সংখ্যা ২৩,৯৪,৫৪৯ , পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশটিতে হিন্দুদের পরেই দ্বিতীয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা। নেপালের জনসংখ্যার মোট ৮.২ শতাংশ বৌদ্ধ। ইসলাম দেশটিতে ১৪,৮৩,০৬০ জন লোক অনুসরণ করেম এবং এটি মোট জনসংখ্যার ৫.০৯ শতাংশ সহ তৃতীয় সর্বাধিক অনুসরণ করা ধর্ম। আদমশুমারির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে গত এক দশকে হিন্দু ও বৌদ্ধদের জনসংখ্যা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে, অপরদিকে মুসলিম, খ্রিস্টান এবং কিরাতদের জনসংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের সংখ্যা কমেছে। গত ১০ বছরে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের সংখ্যা যথাক্রমে ০.১১ শতাংশ এবং ০.৭৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ইসলাম, কিরাত এবং খ্রিস্টানদের জনসংখ্যা যথাক্রমে ০.৬৯, ০.১৭ এবং ০.৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১১ সালের আদমশুমারির সময়, হিমালয়ের কোলে অবস্থিত দেশটিতে ৮১.৩ শতাংশ হিন্দু, ৯ শতাংশ বৌদ্ধ, ৪.৪ শতাংশ মুসলিম, ৩.১ শতাংশ কিরাতি এবং ০.১ শতাংশ খ্রিস্টান ছিল।
খ্রিস্টধর্ম, নেপালের পঞ্চম বৃহত্তম ধর্ম, ৫,১২,৩১৩ জন লোক এই ধর্ম অনুসরণ করে, যা মোট জনসংখ্যার১.৭৬ শতাংশ। পাশাপাশি স্বদেশি কিরাত ধর্ম ৩.১৭ শতাংশ অনুসারী সহ চতুর্থ বৃহত্তম ধর্ম হিসাবে নেপালে রয়েছে। নেপালে প্রতি দশ বছর অন্তর জনসংখ্যার শুমারি পরিচালনা করা হয়, কিন্তু এবার কোভিড-১৯ এর কারণে ফলাফল আসতে দেরি হয়েছে।
১১ শতাংশের বেশি মানুষ ভোজপুরি ভাষায় কথা বলে। নেপালিদের দ্বারা অনুসরণ করা দশটি ধর্মের মধ্যে, পাঁচটি ধর্ম হল প্রকৃতি, বন, জৈন, বাহাই এবং শিখ ধর্ম। নেপালিদের মোট ১২৪ টি মাতৃভাষা রয়েছে, যার মধ্যে নেপালি ভাষা জনসংখ্যার ৪৪ শতাংশ মানুষ কথা বলে , তারপরে মৈথিলি – ১১.০৫ শতাংশ এবং ভোজপুরিতে – ৬.২৪ শতাংশ মানুষ কথা বলেন । পাশাপাশি থারু ভাষায় জনসংখ্যার ৫.৮৮ শতাংশ এবং তামাং ভাষায় ৪.৮৮ শতাংশ মানুষ কথা বলেন।
এদিকে ভারতে ২০১১’র জনগণনা রিপোর্টে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি সম্পর্কে নির্দিষ্ট বক্তব্য পেশ করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ‘ধর্মীয় অংশের বিচারে আলাদা করে দেখলেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে। এর মধ্যে মুসলিমদের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অনেকটা কমেছে।’ আরও জানানো হয়েছিল যে, ১৯৯১-২০০১ দশকে হিন্দুদের বৃদ্ধির হার ১৯.৯২ শতাংশ। মুসলিমদের ছিল ২৯.৫২ শতাংশ। ২০০১-২০১১ দশকে হিন্দুদের বৃদ্ধির হার হয় ১৬.৭৬ শতাংশ, মুসলিমদের ২৪.৬০ শতাংশ।