রতন টাটার খাস লোক, বেতন পান কয়েক কোটিতে! চেনেন সুশান্ত দাসকে?

বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেশের সেরা কোম্পানিগুলির মধ্যে একটি হল রতন টাটার (Ratan Tata) টাটা গ্রুপ (TATA Group) । নুন থেকে শুরু করে এরোপ্লেন, কী নেই এই কোম্পানিটির! এটি দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সংস্থা।  বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কফি কোম্পানি – স্টারবাকসের  (Starbucks) সাথেও ব্যবসা করছে কোম্পানিটি। আর এই টাটা-বাকস-র সিইও কে জানেন? তিনি একজন ভারতীয়, যার নাম সুশান্ত দাস।

উল্লেখ্য, Tata Starbucks-এর CEO হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল সুশান্ত দাসকে। এটি মূলত স্টারবাকসের ভারতীয় সংস্করণ। ইতিমধ্যেই গোটা দেশে শতাধিক স্টোর খুলেছে সংস্থাটি। জানিয়ে রাখি, এই আন্তর্জাতিক সংস্থাটি ভারতে আসার এক দশক পর সাল ২০২১-এ সুশান্ত দাসকে Starbucks-এর সিইও হিসেবে নিযুক্ত করে।

অনেকেই হয়ত জানেননা যে, আপনাদের পছন্দের ব্র্যান্ড স্টারবাকস ২০১২ সালে টাটা গ্রুপের সাথে ৫০-৫০ চুক্তিতে ভারতীয় বাজারে প্রবেশ করে। জেনে অবাক হবেন যে, সারা দেশে শতাধিক স্টোর খোলার পর এই ভারতে এই বিদেশি সংস্থাটির রেভিনিউ প্রায় ৬৮৩ কোটি টাকারও বেশি। আন্তর্জাতিকভাবে স্টারবাকসের সামগ্রিক রেভিনিউ প্রায় ২.৬০ লক্ষ কোটিরও বেশি।

টাটা এবং স্টারবাকসের চুক্তির শুরু থেকেই যুক্ত ছিলেন সুশান্ত দাস। বিশ্বের সেরা কফি কোম্পানির ভারতীয় সফরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কান্ডারি হলেন তিনি। বলা চলে তার কারণেই স্টারবাকস ভারতে তাদের সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে পেরেছিল। উল্লেখ্য, ২০২৩ সাল পর্যন্ত টাটা স্টারবাকস ভারতে মোট ৩৪০টি স্টোর খুলতে পেরেছে।

ratan tata and howard schultz

উল্লেখ্য, টাটা স্টারবাকসের সিইও হওয়ার আগে টাটার আরও নানা প্রোজেক্টের অংশ ছিলেন সুশান্ত। টাটা কনজিউমার প্রোডাক্ট যা টাটা টি, টাটা সল্ট এবং টেটলি-র মত পণ্য উৎপাদন করে থাকে। এর পাশাপাশি ভারত, বাংলাদেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যে টাটা কনজিউমারের প্যাকেজড বেভারিজ বিজনেসের সভাপতি ছিলেন সুশান্ত।

sushant dash ceo tata starbucks1

এহেন একজন তুখোড় ব্যবসায়ীর স্যালারির কথা অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন। যদিও কোম্পানির তরফ থেকে সুশান্তের পারিশ্রমিক সম্পর্কে কোন তথ্য এখনও দেওয়া হয়নি। তবে একটি প্রতিবেদন বলছে, টাটা সিইওদের বেতনের পরিসীমা প্রায় ২ থেকে ৩ কোটি টাকা। সুশান্ত দাসের পারিশ্রমিক এর চেয়ে বেশি হবে বৈ কম হবেনা বলে ধারণা নেটিজেনদের।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর