বাংলা হান্ট ডেস্ক : তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। দুর্নীতির অভিযোগে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ইমরানকে। সেই সঙ্গে আগামী পাঁচ বছর কোনও নির্বাচনে লড়তে পারবেন না ‘কাপ্তান’ ইমরান। শনিবার এই নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের এক নিম্ন আদালত।
তোশাখানা মামলায় শুরু থেকেই অভিযোগ উঠছিল ইমরান খানের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে পাকিস্তান সরকার যে উপহার পেয়েছে, সেগুলি ইমরান খান নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। দাবি করা হচ্ছিল, তা সম্পূর্ণ সংবিধানবিরোধী এবং পাকিস্তানের পক্ষেও সম্মানহানিকর। এবার সেই মামলায় ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করল পাকিস্তানের এক ট্রায়াল কোর্ট।
আগামী বছরেই পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন রয়েছে। আর ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি হল ইসলামাবাদের প্রধান বিরোধী দল। সেদিক থেকে ভোটের আগে ইমরানের এই সাজা তেহরিক-ই-ইনসাফের জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এদিকে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, শনিবার আদালতের এই সাজা ঘোষণার পরই গ্রেফতার করা হয়েছে ইমরানকে। সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশের পরই জামান পার্কে ইমরানের বাড়িতে পৌঁছে যায় পুলিশ এবং তাঁর বাসভবন থেকে তেহরিক-ই-ইনসাফ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে নিম্ন আদালতের এই নির্দেশের পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তেহরিক-ই-ইনসাফ। দলের টুইটার হ্যান্ডেলে তেহরিক-ই-ইনসাফের মুখপাত্র নিম্ন আদালতের এই নির্দেশকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত’ বলে নিন্দা করেছেন। নিম্ন আদালতের বিচারক হুমায়ূন দিলাওয়ারের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে তেহরিক-ই-ইনসাফ ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তোশাখানা মামলায় নিম্ন আদালতের এই নির্দেশ পাকিস্তানের ‘বিচারব্যবস্থার উপর এক কালো ছাপ’ বলে মনে করছে ইমরানের দল।