বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রতিদিন সংবাদের শিরোনামে কলকাতা তথা রাজ্যের স্বনামধন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে এই যাদবপুর ইস্যুতেই উত্তাল রাজ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের বাংলা অনার্সের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর রহস্য মৃত্যুতে (Jadavpur University Student Death) কেও যেন খুলে দিয়েছে প্যান্ডোরা বক্স! উঠে আসছে তত্ত্ব। একটি তরতাজা প্রাণ চলে যাওয়ার পর হুঁশ ফিরেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
ঘটনার পরই নিয়োগ করা হয়েছে নয়া উপাচার্য। তারপর থেকেই অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটিকে নিয়ে বৈঠক করে নানা পদক্ষেপের কথা বলা হয়। ইউজিসি-র গাইডলাইন মেনে এই ধরনের ঘটনায় ঠিক কী কী করণীয় সেই বিষয়েও কমিটিকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে এসবের পরও অশান্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।
এরই মধ্যে যাদবপুর ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। নিত্যদিন নানা ইস্যুতে, ক্যাম্পাসকে র্যাগিংমুক্ত করার লক্ষ্যে আন্দোলন চালাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। সেই নিয়ে ছড়াচ্ছে উত্তেজনা। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালযয়ের ক্যাম্পাসে আজ আরেক কাণ্ড।
আরও পড়ুন: ‘…চাকরি হবে না’, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এবার মুখ খুললেন SSC-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার
এদিন সটান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতীয় সেনার এম্বলেম লাগানো পোশাকে হাজির হন ২৫-৩০ জন। কী তাদের দাবি? জানা গিয়েছে অশান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি রক্ষা করতে ফোর্স মোতায়েন করার ইচ্ছা প্রকাশ করে তারা সেখানে হাজির হন। শুধু তাই নয় কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও।
সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি রক্ষার্থে তাদের বাহিনী ব্যবহারের প্রয়োজন হলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি নিয়ে সেখানে পরিষেবা প্রদান করবেন। তাদের দাবি, মানবাধিকার রক্ষার কাজের পাশাপাশি তাদের সংস্থা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে কাজ করে।
আরও পড়ুন: ED-র দাবি থেকেই সূত্রপাত! ‘টুইট’ যুদ্ধে শুভেন্দু-অভিষেক, হা করে দেখেই গেল সকলে
এই পর্যন্ত ঠিক থাকলেও কিছুক্ষণ পরই ঘটে বিপত্তি। সংবাদ মাধ্যম তাদের ঘিরে ধরলে কখনও তারা বলেন তাদের এই সংগঠন আন্তর্জাতিক মানের, কখনও নিজেদের মানবাধিকার কমিশনের সদস্য, কখনও NGO-র সদস্য বলেও দাবি করতে থাকেন তারা।
সমস্যা আরও বাড়ে যখন তাদের কাধে WHRPF লেখা ইনসিগনিয়া দেখে প্রশ্ন করলে কারা তাদের স্বীকৃতি কারা দিয়েছেন তার জবাব দিতে পারেননি তারা। পাশাপাশি কেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর পোশাক তারা এই ভাবে ব্যবহার করছেন সেই প্রশ্নেরও কোন উত্তর দিতে পারেননি তারা।
এরপরই তারা জানান, চম্পাহাটির একটি NGO তে কাজ করেন তারা। এটি সেই NGO তরফেই করা হয়েছে। তাদের এই সংগঠনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ৩ মাসের ট্রেনিংয়ের পর তাদের পুলিশের চাকরি দেওয়া হবে। তাই তারা চাকরির আশায় সেখানে এসেছেন। চাপের মুখে পড়ে সংস্থার মালিকও ভুল স্বীকার করে বলেন এই পোশাক ব্যবহার উচিৎ হয়নি তাদের। অন্যদিকে ক্যাম্পাসের ছাত্রছাত্রীরা ঘিরে ধরতেই NGO-র সদস্যরা চম্পট দেয়।