বাংলা হান্ট ডেস্ক : আবারও শ্লীলতাহানির অভিযোগ বঙ্গে। আর এবার অভিযোগের তীর খোদ শাসকদলের বিরুদ্ধেই। মাত্র ১৯ বছরের একটি মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে ধৃত তৃণমূল যুব নেতা সেখ মোমিন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রাত্রে পান্ডুয়ার জয়পুরের জিটি রোডের ধারে।
মিডিয়া সূত্রে জানা যাচ্ছে, গতকাল রাত্রে পান্ডুয়ার জয়পুরের জিটি রোডের পাশ থেকে ১৯ বছরের ঐ তরুণীকে জোরপূর্বক নিজের গাড়িতে তুলে নেয় তৃণমূল যুব নেতা সেখ মোমিন। এরপর সেখান থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে সিমলাগড়ে গাড়ি থামানো হয়। সেখানে মেয়েটির সাথে বলপূর্বক শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করলে মেয়েটি মরিয়া হয়ে চিৎকার শুরু করে।
আসেপাশের মানুষদের কানে সেই চিৎকার পৌঁছালে সকলেই পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। সেখ মোমিনের হাত থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে তারা পুলিশে খবর দেয়। খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ এসে পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। জানা যাচ্ছে পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। একদিকে মেয়েটিকে তার পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে অন্যদিকে অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করেছে সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন : মাথাভর্তি সিঁদুর হাতে শাঁখা পলা, দেবের স্ত্রী রূপে অপরূপা সৌমিতৃষা! ‘প্রধান’ ছবির লুক দেখে মুগ্ধ ভক্তরা
সূত্রের খবর, ঘটনায় অভিযুক্ত সেখ মোমিন মূলত খীরকুন্ডি নিয়ালা নামাজ গ্রাম অঞ্চল সভাপতি। এদিকে তরুণী জয়পুর এলাকার বাসিন্দা। এই বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে তরুণীর দাদু বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম।পাড়ার একটি ছেলে এসে ডেকে বলল থানায় যেতে।থানায় গিয়ে দেখি নাতনি বসে আছে। ঘটনা শুনে অফিসারকে বললাম যা করলে ভালো হয় করুন।’
আরও পড়ুন : ‘বিয়ের বয়স চলে যাচ্ছে, মেয়ে দেখতে যাব …” ভাইরাল পুলিশের ছুটি চাওয়ার চিঠি
এদিকে পান্ডুয়ার প্রাক্তন বিধায়ক সিপিএম নেতা আমজাদ হোসেন এই বিষয়ে জানান, ‘তৃনমূল যুব নেতা একটি মেয়েকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। এলাকার লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করে।’ অন্যদিকে তৃণমূলের পান্ডুয়া ব্লক সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ঘটনায় যে দোষী তার সাজা হবে। যদিও এই অভিযোগ এক কথায় অস্বীকার করেছে সেখ মোমিন। যদিও এছাড়াও আরও বেশকিছু অভিযোগ এসেছে সেখ মোমিনের নামে। সভাপতি হওয়ার পর খীরকুন্ডির এক ব্যাক্তির দোকান দখল করে পার্টি অফিস করেছিল বলেও অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।