“জাতীয় সঙ্গীত রচিত ২০১১ সালে, ‘কারার ওই লৌহকপাট’ কবিগুরুর লেখা”, নতুন করে ইতিহাস শেখালেন TMC নেতা

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলা ভাষা রক্ষার লড়াইয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থার অভিযোগ তুলে ভাষা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে দলেরই বিভিন্ন নেতা নেত্রীদের মন্তব্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিতর্ক। এবার ‘কারার ওই লৌহকপাট’ গানটিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা বলে মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়ালেন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা।

তৃণমূল নেতার (Trinamool Congress) মন্তব্যে ধুন্ধুমার কাণ্ড

হুগলি জেলার গোঘাট এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি নারায়ণচন্দ্র পাঁজা সম্প্রতি একের পর এক বেফাঁস মন্তব্য করেছেন। রবিবার গোঘাটে তৃণমূলের (Trinamool Congress) বাংলা ভাষা বাঁচাও আন্দোলনের সভা মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২০১১ সালে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত জন গণ মন রচনা করেছিলেন। আজ আমরা সে গান গাই’।

Trinamool Congress leader said national anthem was written on 2011

কী এমন বলেছেন তিনি: কেলেঙ্কারির এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও বলেন, ‘১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, কারার ওই লৌহ কপাট, ভেঙে ফেল ফেল রে লোটা’। তাঁর এহেন বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক হতেই সুর বদলে ফেলেছেন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনেকসময় সালের গণ্ডগোল হয়। প্রথমে ২০১১ সাল বললেও পরে ক্ষমা চেয়ে ১৯১১ বলেছেন তিনি।

আরও পড়ুন : বাংলা বাঁচানোর হুঙ্কার মমতার, এদিকে খাস কলকাতায় তৃণমূলের পোস্টারে হিন্দির দাপট! বাংলাহান্টের ক্যামেরায় হল ‘ফাঁস’

সাফাই দলীয় নেতার: হুগলির তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা আরও বলেন, কারার ওই লৌহ কপাট কাজী নজরুল ইসলাম রচনা করেছিলেন। কিন্তু বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় কবিগুরুই গানটিকে জাগ্রত করেছিলেন। আবেগে ভুল বলে ফেলেছিলেন তিনি। পরে তা সংশোধন করে নেন। কিন্তু বিরোধীরা বিষয়টিকে অত সহজে হাতছাড়া করতে রাজি নয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তীব্র কটাক্ষ শানিয়েছেন এ নিয়ে।

আরও পড়ুন : সোনার দাম যেন অশ্বমেধের ঘোড়া, ৬ বছরে বেড়েছে ২০০%, আগামী ৫ বছরে কত ছোঁবে হলুদ ধাতুর দর?

তিনি বলেন, ‘এই তো তৃণমূলের অবস্থা। দলের সব নেতাই অশিক্ষিত, চোর ডাকাত। গোটা রাজ্যে যত ডাকাত ধরা পড়েছে সব তৃণমূল নেতা’। সরব হয়েছেন বিজেপি নেত্রী দোলন দাসও। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ হিসেবে এটা আমাদের কাছে লজ্জা। শাসকদল নির্লজ্জতার ঊর্দ্ধে উঠে গিয়েছে। বাঙালি, কবিগুরুর আবেগ কী, বাঙালি সংষ্কৃতি তৃণমূলের নেতারা জানেন না। তাঁরা আবার বাংলা ভাষা নিয়ে মঞ্চ বেঁধে জ্ঞান দিচ্ছেন!’