বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অবশেষে কাটল জট। দীর্ঘ টালবাহানার পর জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে মোমিনপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মেট্রোর কাজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এর আগে এই মামলার শুনানিতে মেট্রো রেলের (Metro Rail) কাজের জন্য ময়দান এলাকায় নতুন করে কোনও গাছ কাটা যাবে না বলে জানিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। তবে এদিন মেট্রোর কাজ চালানো যাবে বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট।
যদিও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, পরিবেশমন্ত্রকের অনুমতি ছাড়া নতুন করে কোনও গাছ কাটা যাবে না। কোনো গাছ অন্যত্র স্থানান্তরও করা যাবে না বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, মোমিনপুর থেকে ধর্মতলা—মেট্রো (Mominpur to Esplanade metro) রেলপথ নির্মাণের জন্য ময়দান এলাকায় নির্বিচারে গাছ কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ‘পিপল ইউনাইটেড ফর বেটার লিভিং ইন ক্যালকাটা’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ তুলে দায়ের হয় মামলা।
কলকাতা হাইকোর্টে মামলা উঠলে প্রথমে স্থগিতাদেশ দেওয়া হলেও পরে সেই জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে মোমিনপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মেট্রোর কাজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয় উচ্চ আদালত। এরপই সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় মামলাকারী। এর আগের শুনানিতে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ ছিল, ‘‘তিন সপ্তাহ পরে আবার মামলার শুনানি হবে। তত দিন পর্যন্ত গাছ কাটা বা নতুন গাছ লাগানো যাবে না।’’
এদিন বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি পিকে মিশ্র এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চের নির্দেশ, পরিবেশমন্ত্রকের অনুমতি ছাড়া গাছে হাত লাগানো যাবে না। প্রসঙ্গত, জোকা–বিবাদী বাগ মেট্রো রেল সম্প্রসারণের কাজে লাগামছাড়া মনোভাব নিয়ে কাটা হচ্ছে গাছ। সবুজকে বাঁচাতে গাছ কাটা বন্ধ করার দাবি জানিয়ে গত বছর কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
তাদের বক্তব্য ছিল এই এলাকাজুড়ে মোট ৭০০ গাছ মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ কাটবে এমন তথ্য মিলেছে। সংবাদমাধ্যম থেকেই এই তথ্য পেয়েছেন তারা। প্রায় ২০০ গাছ কাটা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তারা। এর বিরুদ্ধেই আদালতের দ্বারস্থ হয় সেই সংগঠন। আবেদনে বলা হয়েছিল, ময়দান এলাকা শহরের ফুসফুস। সেখানে এত পরিমাণে গাছ কাটা হলে পরিবেশের ক্ষতি হবে।
আরও পড়ুন: কিসের ভিত্তিতে পদক্ষেপ? ‘রিপোর্ট দিন’, রাজ্যকে কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
এদিকে সুপ্রিম কোর্টে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, মামলাকারীরা প্রচুর গাছ কাটার অভিযোগ করলেও আসলে সেই গাছগুলি উপড়ে অন্যত্র প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরোপুরিভাবে কোনো গাছ কেটে ফেলা হয়নি।
তাছাড়াও, ৯৪টি গাছ অন্য জায়গায় লাগানো হয়েছে।