বাংলা হান্ট ডেস্ক : উৎসবের রেশ কাটেনি এখনও। এরই মাঝে উত্তরাখন্ডে (Uttarakhand) ঘটে গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। সারা বছরের কর্মব্যস্ত জীবন থেকে ছুটি মিলতেই উৎসবের দিনগুলো আনন্দে কাটানোর জন্য নিজের গ্রামে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু কে জানতো এটাই তাঁদের শেষ দীপাবলি ছিল। ছুটি শেষ হতেই সোমবার আবার কাজে ফেরার পালা। তাই সপ্তাহের শুরুর দিনেই পাহাড়ি রাস্তায় অস্বাভাবিক ভিড়।
উত্তরাখন্ডে (Uttarakhand) মর্মান্তিক দুর্ঘটনা
সোমবার সপ্তাহের শুরুর দিনেই সাত সকালে সংকীর্ণ পাহাড়ি রাস্তায় ঘটে গেল এক মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনা। উত্তরাখন্ডের (Uttarakhand) আলমোড়ায় আচমকাই একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায় গভীর খাদে। জানা যাচ্ছে ওই বাসটিতে নাকি ৪০ জনের বেশি যাত্রী ছিল। গাড়োয়াল থেকে কুমায়ুনের দিকে যাওয়ার পথে ২০০ মিটার গভীর খাদে পড়ে যায় বাস।
ভয়ংকর এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬ জন। অনেককেই উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই বাস দুর্ঘটনায় মৃত যাত্রীদের পরিবার পিছু চার লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন উত্তরাখন্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী পুরস্কার সিং ধামি।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর নৈনিতাল জেলার অন্তর্গত রামনগরেই সোমবার বাসটি খাদে পড়ে যায়। ঘটনা স্থল থেকে ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক ভিডিও। এমন একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পাহাড়ি খরস্রোতা নদীর ধারে একটি বাস দুমরে মুচড়ে পড়ে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বাস থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করার কাজে এগিয়ে এসেছেন।
আরও পড়ুন : ‘পুওর পারফরম্যান্স’-এর তালিকায় ১০ জেলা! নবান্ন থেকে কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
তবে ওই অংশে নদী গভীর না হওয়ায় অনেকেই নদী পেরিয়ে বাসের কাছে গিয়ে যাত্রীদের সাহায্য করার চেষ্টা করছেন। এই বাস দুর্ঘটনায় নিহত যাত্রীদের উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে হাজির হয় উত্তরাখণ্ডের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সাথে পুলিশও। এই বাস দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে অনেকেই দাবি করছেন ওই বাসটিতে ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী ছিলেন।
এদিন সকাল ৯ টা নাগাদ যখন প্রশাসনের কাছে খবর পৌঁছায় উদ্ধারকার্য চালানোর জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তখনই কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও অনেকক্ষণ ওই গাড়ির মধ্যেই আটকে ছিলেন বেশ কয়েকজন যাত্রী। এদিনের এই দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘রামনগরের কাছে বাস দুর্ঘটনার খবর অত্যন্ত দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যের। জেলা প্রশাসনকে উদ্ধারকাজের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। আহতদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যাঁরা গুরুতর জখম, তাঁদের প্রয়োজনে আকাশপথে উড়িয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হবে।’