রাতের ঘুম উড়ল ডাক্তারদের! প্রাইভেট প্র্যাকটিস নিয়ে কড়াকড়ি! নয়া নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) প্রতিবাদের আবহে কিছু চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দেদার প্রাইভেট প্র্যাকটিস চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। যা নিয়ে সেই সময় বিস্তর জলঘোলা হয়। অভিযোগ ওঠে, সরকারি হাসপাতালের বহু ডাক্তার (Government Doctors) চুটিয়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিস চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার তাঁদেরকেই নির্দিষ্ট নিয়মে বাঁধতে উদ্যোগী স্বাস্থ্য দফতর (West Bengal Health Department)। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে জারি করা হয়েছে একটি নির্দেশিকা।

স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Department) নির্দেশিকায় কী বলা হয়েছে?

সরকারি হাসপাতালের চাকরি নয়, বেসরকারি ক্লিনিকে প্র্যাকটিসটাই আসল! বহু সরকারি হাসপাতালে এমন অনেক চিকিৎসক রয়েছেন যারা দিনের পর দিন ধরে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করছেন। এবার সেই নিয়েই কড়াকড়ি করতে চলেছে স্বাস্থ্য দফতর। সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের তরফ থেকে এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

সদ্য জারি করা এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে চাইলে সরকারি হাসপাতাল এবং সরকারি ইনস্টিটিউটে কর্মরত সকল চিকিৎসকদের এনওসি (NOC) তথা নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে হবে। ডাইরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশন কিংবা ডাইরেক্টর অফ হেলথ সার্ভিসের কাছে এই এনওসির জন্য আবেদন জানানো যাবে। নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া হলেই তাঁরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ BJP অতীত! ফের তৃণমূলে ফিরছেন এই ‘হেভিওয়েট’ নেতা? কুণালের দাবিতে তোলপাড়

স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Department) জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট ফরম্যাটে এনওসির জন্য আবেদন করতে হবে। সেখানে ডাক্তারের নাম, এমপ্লয়ি আইডি, আধার নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, প্যান নম্বর, কোথায় প্রথম পোস্টিং হয়েছিল, চাকরির মেয়াদ কতদিনের, বর্তমানে তাঁর পোস্টিং কোথায় রয়েছে, তাঁর পদমর্যাদা সহ বেশ কিছু তথ্যের উল্লেখ করতে হবে।

সেই সঙ্গেই সরকারি হাসপাতালের কোনও ডাক্তার কোথায় প্রাইভেট প্র্যাকটিস (Private Practice) করতে পারবেন সেটাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, বর্তমানে সেই চিকিৎসকের যেখানে পোস্টিং রয়েছে, সেখান থেকে ২০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করা যাবে। তবে সরকারি চত্বর অথবা সরকারি কোনও কোয়ার্টারে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করা যাবে না বলে পরিষ্কার জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Department) নির্দেশিকা অনুযায়ী, এনওসির জন্য আবেদনের সময় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে জানাতে হবে তিনি কোথায় প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে চান। সেই সঙ্গেই কোন জেলায় প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে চান, সেটাও জানাতে বলা হয়েছে। তবে জানা যাচ্ছে, যারা নন প্র্যাকটিসিং অ্যালাওয়েন্স নিচ্ছেন না এবং প্রাইভেট প্র্যাকটিসের কথা উল্লেখ করেছেন, এটা তাঁদের জন্য।