বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই আবুধাবিতে (Abu Dhabi) তৈরি প্রথম হিন্দু মন্দিরের (Hindu Mandir) উদ্বোধন হয়েছে গত বুধবার। পাশাপাশি, সম্পন্ন হয়েছে প্রাণপ্রতিষ্ঠাও। আবুধাবির এই মন্দিরটি অত্যন্ত বড়। যেখানে সনাতন সংস্কৃতিকে উপলব্ধি করা যায়। BAPS দ্বারা নির্মিত এই মন্দিরটি গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মোদী (Narendra More) উদ্বোধন করেন।
এই মন্দিরের মাধ্যমেই মুসলিম দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর রাজধানী আবুধাবি পেয়ে গেল প্রথম হিন্দু মন্দির। তবে, এবার একটি বড় খবর সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে যে, আবুধাবির পর এবার আরেকটি মুসলিম দেশে তৈরি হতে চলেছে হিন্দু মন্দির। এজন্য ইতিমধ্যেই ওই দেশের রাজার কাছ থেকে জমি পাওয়া গেছে। এমতাবস্থায়, দ্রুত এই বিষয়ে কাজ শুরু হবে বলেও জানা গিয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর পর এই মুসলিম দেশে তৈরি হবে মন্দির: মূলত, এবার বাহরিনে হিন্দু মন্দির তৈরি হতে চলেছে। ওই মন্দিরটিও হবে আবুধাবির মন্দিরের মতো বড় মন্দির। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এটিও বোচাসনবাসী শ্রী অক্ষর পুরুষোত্তম স্বামীনারায়ণ সংস্থা (Bochasanwasi Shri Akshar Purushottam Swaminarayan Sanstha) অর্থাৎ BAPS দ্বারা নির্মিত হতে চলেছে। মন্দির নির্মাণের প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই BAPS প্রতিনিধি দল বাহরিনের শাসকের সাথে দেখা করেছে। পাশাপাশি, মন্দিরের জন্য বাহরিন সরকার জমি বরাদ্দ করেছে এবং এখন নির্মাণকাজ শুরুর প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফাগুনের শুরুতেই বিয়ের মরশুমে সস্তা হল সোনা! কেনার আগে জেনে নিন সর্বশেষ দর
ক্রাউন প্রিন্স জমি বরাদ্দের ঘোষণা করেন: উল্লেখ্য যে, ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বাহরিনের ক্রাউন প্রিন্স সালমান বিন হামাদ আল খলিফা স্বামীনারায়ণ হিন্দু মন্দির নির্মাণের জন্য জমি বরাদ্দের ঘোষণা করেছিলেন। এরপর স্বামী অক্ষরাতীতদাস, ডক্টর প্রফুল্ল বৈদ্য, রমেশ পতিদার এবং মহেশ দেবজীর প্রতিনিধি দল মন্দির নির্মাণের বিষয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। BAPS জানিয়েছে, মন্দিরের উদ্দেশ্য হল সমস্ত ধর্মের মানুষকে স্বাগত জানানো এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক কার্যকলাপের জন্য জায়গা প্রদান করা।
আরও পড়ুন: এবার বাঁচবে কোটি কোটি মানুষের প্রাণ! রাশিয়া তৈরি করল ক্যান্সারের ভ্যাকসিন, জানালেন স্বয়ং পুতিন
ক্রাউন প্রিন্সের প্রতি প্রকাশ করেছেন কৃতজ্ঞতা: BAPS-এর গুরু মহন্ত স্বামী মহারাজ বাহরিনে মন্দিরের জমির জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং বাহরিনের ক্রাউন প্রিন্সের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন যে, এটি দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং ধর্মীয় সম্প্রীতির চিরন্তন বিশ্বাসকে প্রতিফলিত করে।