ডিভোর্স বাড়ছে হু হু করে! দাম্পত্য অটুট রাখতে সবাই ডুব দিচ্ছেন বাংলার এই ম্যাজিক পুকুরে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে একের পর এক বিয়ের মরশুম। আর এই নব বিবাহিত দম্পতিদের (Newly Married Coup;e) ভ্রমণের (Travel) জন্য এবার খুলে গেল এক দারুন ম্যাজিক পুকুর। চারদিকে যখন হু হু করে বাড়ছে ডিভোর্স তখন এরই মধ্যে হদিশ মিলল এক ম্যাজিক পুকুরের।

কথিত আছে নববিবাহিত এই দম্পতি এই পুকুরে গিয়ে যদি পুন্য স্নান সারেন এবং সেইসাথে বিয়ের টোপর, মালা বিসর্জন দিয়ে যদি স্নান করেন তাহলে নাকি তাঁদের দাম্পত্য জীবন (Married Life) অনেক সুখের হয়। এখন প্রশ্ন হল কোথায় রয়েছে অত্যাশ্চর্য পুকুর? যাচ্ছে বাংলার বুকে অবস্থিত এই বিখ্যাত পুকুরটি রয়েছে মালদা জেলায় অবস্থিত নারায়ণপুরের বিখ্যাত দেবকুন্ড সংলগ্ন এলাকায়।  প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী এই দেবকুন্ড মন্দিরের সঙ্গেই জড়িত রয়েছে মসনামঙ্গল কাব্য।

সেই বিশ্বাস অনুযায়ী মনে করা হয় এখনাকর এই দেবকুন্ড মন্দির প্রাঙ্গণেই নাকি স্বয়ং দেবতারা বেহুলার স্বামী লখিন্দরের প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আর স্বামীর দেহে প্রাণ আসতেই সতী বেহুলাএই জায়গা  থেকেই তাঁর স্বামীকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।ভক্তদের বিশ্বাস সেই সময় থেকেই নাকি এই দেবকুন্ড মন্দির তৈরি হয়।

প্রতিবছর জৈষ্ঠ মাসের বুদ্ধপূর্ণিমায় এখানে ঘটা করে পুজো করা হয়। সেইসাথে পুজো উপলক্ষে এখানে বসে বিশাল মেলা। আর স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় জানা যায়, এই পুজোর জন্য নাকি তাঁদের কোনোদিন কোনো প্রচার করতে হয় না। প্রতিবছর নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে ভক্ত সমাগম হয়। আর পুজো সেরে ভক্তরা আবার নিজেদের গন্তব্যে ফিরেও যান।

আরও পড়ুন: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হচ্ছে কবে? দিনক্ষণ জানিয়ে ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী করলেন জ্যোতিষী

Dev kunda

পুর্ণার্থীদের বিশ্বাস বিয়ের পর এই দেবকুন্ডু পুকুরে মুকুট মালা বিসর্জন করে স্নান করলে দাম্পত্য জীবন সুখের হয়। বহু মানুষ এখানে আসেন। বর্তমানে এই জায়গাটি পুরাতন মালদহের নারায়ণপুরের বিএসএফ ক্যাম্পের ভেতরে অবস্থিত। তাইসারা বছর প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও বছরের এই একটি নির্দিষ্ট সময়েই মন্দির খোলা হয়। প্রসঙ্গত এই নারায়ণপুর গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে বেহুলা নদী। জানা গিয়েছে মূলত রাজবংশী ও পোলিয়া সম্প্রদায়ের মানুষরাই এখানে বেশি আসেন।


Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর