বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লকডাউনের মধ্যেই আতঙ্ক বাড়ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant workers)জীবন নিয়ে। ফের উত্তপ্রদেশে (Uttar Pradesh) পথ দুর্ঘটনার শিকার হল ২৪ পরিযায়ী শ্রমিক। জানা গেছে মৃতদের বেশিরভাগই ছিলেন বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। এছাড়া ঘটনাস্থলে আহতও হয়েছেন অনেকে। সকলকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সংকটের মুখে পড়ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবন
কিছুদিন আগেই পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে গিয়ে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে ভোররাতে ট্রেনের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারায় ১৬ পরিযায়ী শ্রমিক। তারপরই আবার উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগর জেলায় ফের পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরায় সরকারী বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারাল ৬ জন শ্রমিক। এভাবে লকডাউনের জেরে যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরতে গিয়ে একের পর এক পথ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। সরকার পক্ষ থেকে পায়ে হেঁটে ফিরতে বারণ করা হলেও, আবার মুখোমুখি দুই গাড়ির সংঘর্ষে প্রাণ হারাচ্ছেন শ্রমিকরা। ক্রমাগত সংকটের মুখে পড়ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবন।
উত্তরপ্রদেশে ফের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল পরিযায়ী শ্রমিক
এইভাবে বাড়ি ফেরার তাড়নায় এক খাবার বোঝাই ট্রাকে খানিকটা জোর করেই উঠে পড়েন বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক। উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে আউরাইয়া জেলায় শুক্রবার গভীর রাত ৩টে নাগাদ মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় দুটি ট্রাকের। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ২৪ জন শ্রমিক। এবং আহত হন আরও অনেকে। শ্রমিকদের ব্যাগপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে রাস্তার চারিদিকে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়ে স্থানীয়দের সহাওতায় আহতদের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। হালকা চোট প্রাপ্ত ব্যক্তিদের দুর্ঘটনাস্থলেই ওষুধ, খাবার, জল দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয় এবং মরদেহ গুলোকে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
যোগী আদিত্যনাথ সহানুভূতি জানিয়েছেন মৃত শ্রমিকদের পরিবারকে
দুর্ঘটনার জেরে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দফতর থেকে এক বিবৃতি জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, “আউরাইয়া জেলার মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সব খবরই নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মৃতদের পরিবারকে গভীর সহানুভূতি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং আহতদের সব রকমের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে কানপুরের আইজি ও কমিশনারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে দুর্ঘটনার বিষয় জেনে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে।”