বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নির্বাচনের বেশ কিছুদিন আগেই তাপ উত্তাপ বাকবিতণ্ডায় মত অশান্ত হয়ে উঠেছিল কবিগুরুর শান্তিনিকেতন। বিশ্বভারতীর পৌষ মেলা বন্ধ, পাঁচিল দেওয়া, রাস্তা সংক্রান্ত ঝামেলা প্রভৃতি নানা ইস্যুতে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পরিবেশ।
একদিকে যেমন ছিলেন বিশ্বভারতীর নয়া উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, অন্যদিকে তেমনি বারবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছিলেন বীরভূম তথা বোলপুরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। বিশেষত বিশ্বভারতীর রাস্তা সংক্রান্ত ঝামেলায় ‘বিশ্বভারতীর উপাচার্য পাগল। মস্তিষ্কের ঠিক নেই। বিজেপির বড় নেতা। ওকে কোন মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত।’ ইত্যাদি বলেও কটাক্ষ করেছিলেন অনুব্রত।
নির্বাচন এখন শেষ। বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতা দখল করতেও সমর্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এরই মাঝে ফের একবার খবরের শিরোনামে উঠে এলেন বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এবং তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বাংলায বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হার নিয়ে বিশ্বভারতীতে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিতরকের আগুনে ফের একবার ঘৃতাহুতি করল ‘Why BJP failed to win West Bengal Assembly Election?’ শীর্ষক এই অনলাইন আলোচনা চক্রই।
এই আলোচনাচক্রের কথা শুনে এদিন ফের একবার স্বকীয় ভঙ্গিমায় উপাচার্যকে তোপ দাগলেন অনুব্রত। নানুর বিধানসভার শিবরামপুর গ্রামের একটি মন্দিরের উদ্বোধনে এসে তিনি বলেন, “আগে করোনাটাকে সামলে নিই তারপর দেখবো ওঁকে।” শুধু তাই না এদিন ফের একবার উপাচার্য বিদ্যুৎ বাবুকে পাগল বলে কটাক্ষ করেন অনুব্রত, “আমরা ইন্দিরা গান্ধিকে দেখেছি, রাজীব গান্ধীকে দেখেছি, এরকম দেখিনি। বিশ্বভারতীর উপাচার্য একটা পাগল।”
উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অনুব্রতর এই হুংকার অবশ্য প্রথমবার নয়। এর আগেও নির্বাচনের পর তাকে শিক্ষা দেওয়ার কথা বলে বীরভূমের এই তৃণমূল নেতা। অন্যদিক তৃণমূলের জেলা সভাপতি তাকে হুমকি দিচ্ছে বলে কেন্দ্রের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন উপাচার্যও। এখন সব মিলিয়ে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় সে দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।