বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছু সময়ে আর জি কর (RG Kar) কাণ্ডে ধৃত সিভিকের (Civic Volunteer) একাধিক দাবিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। কখনও সরকার, কখনও প্রাক্তন সিপিকে নিশানা করেছে সে। এরই মধ্যে শুনানি চললেও আদালতে আর ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে না আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। সূত্রের খবর, সোমবার থেকে আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের বিচার পর্ব ভার্চুয়ালি হবে।
জানা গিয়েছে, নিরাপত্তার কারণে আর শিয়ালদহ আদালতে সশরীরে হাজির করানো হবে না সঞ্জয় রায়কে। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারেই আলাদা ঘরে বসে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচার পর্বে অংশ নেবে এই সিভিক। আদালতে হাজির থাকবে দুই তরফেরই আইনজীবী, সাক্ষী সকলেই। বিচার পর্বও রুদ্ধদ্বার কক্ষেই হবে। জেলেও রুদ্ধদ্বার কক্ষেই শুনানি হবে। শুধুমাত্র ধৃত সিভিক ক্যামেরার সামনে বসে শুনানিতে হাজির হবে।
যে সময় জেলে রুদ্ধদ্বার কক্ষেই শুনানি চলবে সেই সময় কারা রক্ষীরা ঘরের বাইরে পাহারা দেবে। আপাতত এভাবেই শুনানি চলবে। সূত্রের খবর, যেদিন কোনও সাক্ষীর মাধ্যমে ধৃতকে চিহ্নিত করণের বিষয় থাকবে সেদিন ফের সশরীরে আনা হবে ধৃত সিভিককে।
প্রসঙ্গত, বিগত কিছু সময়ে সরকার, পুলিশকর্তা সহ একাধিক জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে আর জি কাণ্ডের ( RG Kar) মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় (Sanjay Roy)। অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্য সরকারের। কিছুদিন আগের ঘটনা, শিয়ালদহ কোর্ট থেকে প্রিজনভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ চিৎকার করে সঞ্জয় বলে, “আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। ডিপার্টমেন্ট-সরকার সব জানে।”
রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সঞ্জয় বলেছিল, ‘এতদিন চুপচাপ ছিলাম। এতদিন কোনো কথা বলিনি। আমি রেপ বা খুন করিনি। আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি সেখানেও। আমাকে নিচে নামিয়ে দিল। সরকারই আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমাকে সব জায়গায় ভয় দেখাচ্ছে যে না তুমি কিছু বলবে না। আমাদের ডিপার্টমেন্ট আমাকে ভয় দেখিয়ে এসব করেছে।’
এখানেই শেষ নয়, দ্বিতীয়বার শিয়ালদা কোর্ট চত্বর থেকে প্রিজনভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ার সময় জানলা থেকে চিৎকার করে সঞ্জয় বলে, সে নির্দোষ, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। এমনকি তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে ক্যামেরার সামনে অভিযোগ তোলে সঞ্জয়। এরপরই প্রাক্তন সিপির নাম ধরে চিৎকার সঞ্জয় বলে, ‘আমি নাম বলে দিচ্ছি বিনীত গোয়েল, ডিসি স্পেশাল সাজিস (ষড়যন্ত্র) করে আমাকে ফাঁসিয়েছে আর সরকারও ওদের সাপোর্ট করছে।’
আরও পড়ুন: শীতের মাঝেই ফের বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে! কোন কোন জেলা ভিজবে? আবহাওয়ার আগাম খবর
এরপর ধৃতকে নিয়ে আসা পুলিশের গাড়ি বদলের ছবিও দেখেছে সকলে। প্রচন্ড পুলিশি প্রহরার মধ্যে দিয়ে তাকে নিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছিল আদালত চত্বরে। কয়েকদিন আগে সঞ্জয়কে আদালতে ঢোকানোর সময় পুলিশকর্মীরা সবাই মিলে হঠাৎই গাড়ি বাজাতে শুরু করে। পুলিশ ভ্যানের গায়ে একজোটে দেওয়া হয় তালি। তীব্র শব্দে বেজেছিল হর্নও।