বাংলাহান্ট ডেস্ক : ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা নিয়ে চিন্তার ভ্রুকুটি ভারত সরকারের কপালে। এই জনবিস্ফোরণকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে সামনে সমূহ বিপদ অপেক্ষা করে আছে দেশের জন্য। এই কারনে আশু প্রয়োজন জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন। কিন্তু এরই মধ্যে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন এআইএমআইএম (AIMIM) প্রধান আসাউদ্দিন ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi)।
তিনি বলেন,’ মুসলিম সমাজ এমন কোনও আইনকে সমর্থন করবে না যেখানে দুটি সন্তান প্রসবের সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। এই রকম আইনে দেশের কোনও লাভ হয় না। চিনের মতো ভুল আমরা করতে চাইনা। জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য শুধুমাত্র মুসলিমদের দায়ি করা যায়না।’ ওবেসি দাবি করেন দেশের মধ্যে গর্ভনিরোধক সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন মুসলিমরাই।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ একবার বলেছিলেন,’ ভারতের বিশেষ একটা সম্প্রদায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ি। ওই সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা অতিরিক্ত বৃদ্ধির প্রভাবে সমাজে বৈষম্য দেখা দেবে।’ ওয়াইসি এর উত্তরে বলেন, ‘জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও আইনের দরকার নেই। মুসলিম সম্প্রদায়ই সবচেয়ে বেশি গর্ভনিরোধক ব্যবহার করেন।’
এরপরেই ওয়াইসি প্রশ্ন তোলেন, ‘ মুসলিমরা কি ভারতের অধিবাসী নয়? সেভাবে দেখতে গেলে একমাত্র দক্ষিণ ভারতের দ্রাবিড়রাই ভারতের মূল নিবাসী। জনসংখ্যা বৃদ্ধির নিরিখে বিচার করলে উত্তরপ্রদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার খুবই বেশি। আইন করে জন্ম নিয়ন্ত্রণ অপরাধ। চিন যে ভুল করেছে সেই ভুল আমরা করতে পারিনা।’
প্রসঙ্গত, জন্ম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আইন ইতিমধ্যেই বেশ কিছু রাজ্যে লাগু করা আছে। অসম, অন্ধ্র, মহারাষ্ট্র, ওডিশা, তেলেঙ্গানা এবং উত্তরাখণ্ডে কোনও ব্যক্তি দুটির বেশি সন্তান গ্রহন করলে সে কোনও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিংহও দাবি তুলেছেন জন্মনিয়ন্ত্রণ আইন লাগু করা খুবই প্রয়োজন। যদিও ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ে কোনও নির্দেশ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায় নি।