বাংলাহান্ট ডেস্ক : মানুষের ভাগ্য কখন কীভাবে পরিবর্তিত হয়ে যায় তা আগে থেকে বলা যায় না। যেমনটা ভাবতে পারেননি সুন্দরবনের এই মৎস্যজীবীরা। এই মৎস্যজীবীরা নদীতে গিয়েছিলেন মাছের সন্ধানে। সেখানে গিয়ে যে এমন দামি মাছ তাদের জালে আসবে তা তারা স্বপ্নেও ভাবেননি।
এই মাছের জন্য সুন্দরবনের কিছু মৎস্যজীবীর কপাল খুলে গেছে। এই মাছটি বিক্রয় মূল্য রাখা হয়েছে প্রায় ৬ লাখ টাকা। বাংলাদেশের (Bangladesh) সুন্দরবন অঞ্চলের সাতক্ষীরা (Satkhira) রেঞ্জ এলাকার মালঞ্চ নদী থেকে মৎস্যজীবীরা সংগ্রহ করেছেন ২৫ কেজি ওজনের একটি জাভা ভোল (Protonibea Diacanthus) মাছ।
আরোও পড়ুন : এটা ‘প্রতিরোধ, প্রতিশোধের ভোট।’ লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজালেন অভিষেক, কর্মীদের বড় বার্তা
এই মাছটির জন্য মৎস্যজীবীরা ৬ লাখ টাকা দাম হেঁকেছেন। গত সোমবার পর্যন্ত এই মাছটির দাম উঠেছিল ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। ২৫ কেজি ৩৬০ গ্রাম ওজনের এই মাছ ধরা পড়ে শুকুর আলীসহ তার সঙ্গী জেলেদের জালে। বাবু নামের এক জেলে এই বিষয়ে বলেছেন, ‘জীবনে প্রথম এই মাছ পেয়েছি। মাছটি পেয়ে আমারা খুব খুশি হয়েছিলাম।’
আরোও পড়ুন : উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়ে এবার বড়সড় ইঙ্গিত হাইকোর্টের! দীর্ঘ ৯ বছর পর মিলছে আশার আলো
পাশাপাশি তার আরোও সংযোজন, ‘কিন্তু মাছ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে সঠিক দাম উঠছে না। মাছটি কিনতে বাইরের ব্যবসায়ীদের আসতে দিচ্ছে না স্থানীয় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। সেজন্য পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকার বেশি দাম উঠছে না। তবে আমরা চেষ্টায় রয়েছি বাইরের থেকে ব্যবসায়ীদের এনে মাছটি যাতে সঠিক দামে বিক্রি করতে পারি।’
শুকুর আলী এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘এই মাছের ফুলকার দাম অনেক বেশি। যার কারণে মাছটির দাম এত বেশি। মাছের ফুলকা দিয়ে ওষুধ তৈরি করা হয়। সাধারণত মাছটি ওষুধ কোম্পানি কিনে নেন মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। তাছাড়া চিন, থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশে এই মাছের ফুলকা দিয়ে সুপ তৈরি হয়। সাধারণত এই মাছের ফুলকা ৮০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজন হয়ে থাকে।’
তবে এক্ষেত্রেও মৎস্যজীবীদের কাছে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় সিন্ডিকেট। এক মৎস্যজীবী বলছেন, ‘অনেক সময় পার হলেও এখানকার স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে মাছটি বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে বড় ব্যবসায়ীদের আনার চেষ্টা চলছে। মাছটির ন্যায্য দাম পেলে আমরা খুশি হব।’