বাংলাহান্ট ডেস্ক: বনি সেনগুপ্তকে (Bonny Sengupta) টলিউডের ‘স্টারকিড’ বলাই যায়। বাবা পরিচালক, মা প্রাক্তন অভিনেত্রী, দাদু নামী অভিনেতা পরিচালক। এক রকম সোনার চামচ মুখে নিয়েই জন্মেছিলেন বনি। কিন্তু তাতে অবশ্য সিনেমা ভাগ্য ভাল হয়নি তাঁর। শুরু থেকেই একের পর এক ছবি ফ্লপ হয়েছে অভিনেতার। এমনকি অনেকে এখনো দাবি করেন, বনিকে নাকি চেনেনই না তারা। এবার ইডির ছোঁয়ায় আরো এক সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়ল বনির।
গত ১০ মার্চ মুক্তি পেয়েছে ‘অর্চির গ্যালারি’। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন বনি এবং আরুষী তালুকদার। সেই ছবির প্রিমিয়ারের দিনই হঠাৎ নায়ক থুড়ি ‘লিডিং মোস্ট হিরো’র শিয়রে সমন। নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ডাক পান বনি। যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের থেকে গাড়ি কেনার জন্য ৪৪ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
তার জেরেই দু দুবার ইডি দফতরে হাজিরা দিতে হয় বনিকে। প্রথমে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি। তারপরে আবার দাবি করেছিলেন, সব টাকা নাকি তাঁরই, ফেরত দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। যদিও তার দুদিন পরেই কুন্তলের নেওয়া ৪৪ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দেন অভিনেতা। তাতেও অবশ্য লাভ কিছুই হয়নি। বরং কেরিয়ারে আরো বড় ফাঁড়া নেমে এসেছে বনির।
বনির সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘অর্চির গ্যালারি’ প্রথম দিন থেকেই খেল দেখাতে শুরু করেছিল। নায়ক ইডির জেরার মুখে, এদিকে দর্শক শূন্য হলে মাছি তাড়ানোর অবস্থা মালিকদের। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, প্রায় ২০ টি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে অর্চির গ্যালারি। কিন্তু ব্যবসার হাল অত্যন্ত খারাপ। বনির আগের ছবিগুলোও কেউ দেখত না, এই ছবিটিও কেউ দেখছে না।
করুণ পরিস্থিতি পরিচালক প্রমিতা ভট্টাচার্যের। তিনি নবাগতা। জানান, বনির সঙ্গে তাঁর আলাপ কাজের সূত্রেই। মাত্র ১০ দিনে শুটিং হয়েছিল অর্চির গ্যালারি ছবিটির। ইন্ডাস্ট্রিতে যারা যারা দেখেছেন তারা প্রশংসাই করেছেন। কিন্তু দর্শকরাই মুখ ফিরিয়েছেন। প্রমিতা বলেন, দুর্নীতি কাণ্ডের কিছুই তিনি জানতেন না। ছবির প্রিমিয়ারের দিন বনি ইডির সমন পেতে তিনি সবটা জানতে পারেন। পরিচালক বলেন, ছবির তুলনায় নায়ককে নিয়ে বেশি চর্চা হচ্ছে। প্রথম ছবির এই হালে হতাশ প্রমিতা।