বাংলাহান্ট ডেস্ক : অসুখে পড়া মানেই ডাক্তার, ওষুধের (Medicine) খরচের পেছনে বেরিয়ে যায় একটা মোটা টাকা। আর যদি কেউ বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে ওষুধের (Medicine) খরচ তুলতে তুলতেই ফুরিয়ে যায় সঞ্চিত অর্থ। এক একটি ওষুধের যা দাম হয়, নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত মানুষের সাধ্যের ধারেকাছেও আসে না। তবে এবার দেশের জনসাধারণের জন্য সরকারের তরফে নেওয়া হল বিরাট উদ্যোগ। এবার থেকে বিরল রোগের ওষুধ কিনে দেবে সরকারই।
বিরল রোগের ওষুধের (Medicine) আকাশছোঁয়া দাম
এবার থেকে বিরল রোগের ওষুধ (Medicine) কিনে রাখা হবে সরকারের তরফে। রোগীদের দরকার মতো তা দেওয়া হবে। জানিয়ে রাখি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে প্রায় ৭ হাজার রোগকে বিরল রোগ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ধরণের রোগ সাধারণত প্রতি ১০০০ জনের মধ্যে ১ জনের হয়ে থাকে। অথচ এর মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ রোগেরই ওষুধ রয়েছে। তাও আবার সেসব রোগের ওষুধের (Medicine) দাম মাত্রা ছাড়া। একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে সর্বস্ব বিক্রি করেও কয়েক কোটি টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। ক্রাউডফান্ডিং করেও সবসময় পুরো টাকা জোগাড় করা সম্ভব হয় না।
সরকারি পলিসিতে হচ্ছে না সমস্যা সমাধান: উল্লেখ্য, ২০২১ সালে কেন্দ্রের তরফে ন্যাশনাল পলিসি ফর রেয়ার ডিজিজ এর আওতায় রোগীকে এককালীন ২০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে করা হয় ৫০ লক্ষ। কিন্তু এই টাকায় কোনো ভাবেই কুলিয়ে উঠতে পারছিলেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। তাহলে উপায় কী?
আরো পড়ুন : লাইনের ওপরেই ছিল “গভীর ষড়যন্ত্র”! চালকের তৎপরতায় বড় বিপদ থেকে বাঁচল বন্দে ভারত
বিরল রোগের জন্য তৈরি হবে ফান্ড: গত বছর এ বিষয়ে দিল্লি হাইকোর্টে একাধিক মামলায় দাবি করা হয়, এমন নির্দেশ দেওয়া হোক যাতে সরকার ওষুধ (Medicine) সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা বলে বিরল রোগের ওষুধ কম দামে বিক্রি করার ব্যবস্থা করে। সেই মতো আদালতের নির্দেশে গঠন করা হয় একটি কমিটি। আলোচনার পর একটি রিপোর্ট জমা দিতে চলেছে ওই কমিটি। জানা যাচ্ছে, এবার থেকে বিরল রোগের ওষুধের জন্য ৯০০ কোটি টাকার একটি সরকারি ফান্ড তৈরি করা হবে।
আরো পড়ুন : ভারতের বিরোধিতা করলে আর নয় বিদেশি অনুদান! NGO-গুলিকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে নতুন নোটিস কেন্দ্রের
বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানি গুলি থেকে এই ফান্ডের টাকায় সরকার বিরল রোগের ওষুধ (Medicine) কিনবে। প্রয়োজন মতো তা দেওয়া হবে রোগীদের। পাশাপাশি এদেশেই যাতে কিছু বিরল রোগের ওষুধ তৈরি করা যায় তার গবেষণার জন্যও এই ফান্ড থেকেই দেওয়া হবে টাকা। তবে সরকারের কাছে ওষুধ পৌঁছানোর পর কীভাবে তা রোগীর কাছে পৌঁছাবে তার উপায়, নিয়ম ঠিক হলেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে আদালতে।