বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার গেরুয়া শিবিরের সুর ধরে লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই খারাপ। কেন্দ্র চাইলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে পারে।” কিন্তু অন্যদিকে আবার BJP-র দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
অধীরের বক্তব্য, “রাজ্য BJP নেতারা পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন চাইছেন। যদি পরিস্থিতি এরকমভাবে খারাপ হতে থাকে তাহলে রাষ্ট্রপতি শাসন জরুরি। কিন্তু, আমাদের প্রশ্ন, BJP নেতারা এ বিষয়টি আদৌ গুরুত্ব সহকারে দেখছেন তো ?” তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরই চিটফান্ড তদন্তে ভাটা পড়েছে। দু’জনের মধ্যে কি তাহলে কোনও চুক্তি হয়েছে?”
উল্লেখ্য, জিয়াগঞ্জে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর কেন্দ্রের কাছে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানাল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে ভিএইচপি-র আন্তর্জাতিক কার্যকরী সভাপতি আলোক কুমার বলেন, ”পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই। বিরোধীশূন্য করতে তাণ্ডব, লুঠ, ধর্ষণ ও হত্যালীলা চালানো হচ্ছে।”
রাজ্যে গত কয়েক বছর ধরে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করে আসছে গেরুয়া শিবির। সেই দিকে ইঙ্গিত করে আলোক কুমার বলেন,”পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির ব্যাপারে কেন ভাবছে না কেন্দ্রীয় সরকার! ভারতের সংবিধান বাঁচাকে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সময় এসে গিয়েছে।” কেরলের থেকেও বাংলার পরিস্থিতি খারাপ বলে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন অলোক কুমার। তাঁর কথায়, ”কেরলকে ছাড়িয়ে গিয়েছে বাংলা। বিশ্ববিদ্যালয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে কেন্দ্রীয়মন্ত্রীকে। আগামী নির্বাচনে মানুষ তৃণমূলকে জবাব দেবে।”
জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার বেলডাঙায় তিনি বলেন,”কার উপরে ভরসা করবে মানুষ? আইনশৃঙ্খলা বলে আর কিছু নেই। থাকলে তো উন্নতি অবনতি হয়!সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত।” ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
তৃণমূলের দাবি, পারিবারিক বিবাদের জেরে খুনকে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে অশান্তি ছড়াতে চাইছে বিজেপি ও আরএসএস। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,’উত্তরপ্রদেশে যে অরাজকতা চলছে, তা থেকে নজর ঘোরাতেই রাজ্যপালের এই মন্তব্য। মুর্শিদাবাদের ঘটনাটি একটি পারিবারিক ঘটনা। তা নিয়ে এত অপপ্রচার কেন? বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে ধামাচাপা দিতেই রাজ্যপালকে আসরে নামানো হয়েছে।’