বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার ওড়িশার (Odisha) বালেশ্বরের (Balasore) কাছে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express) ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৬০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। পাশাপাশি আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০০০। শনিবারই কপ্টারে চেপে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ বালেশ্বরে পৌঁছন তিনি। গোটা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তিনি। কথা বলেন রেলমন্ত্রীর সঙ্গে। চিকিৎসকদের সাথেও কথা বলেন। রেলমন্ত্রীকে পাশে নিয়ে রেলের সমালোচনা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। রেলের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। বলেন, “যাত্রীদের প্রতি রেলের আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিৎ।”
পাশাপাশি এই দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে খানিক সন্দেহও প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, “কী ভাবে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল? নিশ্চয়ই কিছু কারণ আছে। ভালো করে তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হোক।” ঘটনাস্থলে অ্যান্টি কলিশন পদ্ধতি ছিল না। তাই এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল বলেও অভিযোগ করেন মমতা।
রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার মনে হয় রেল মন্ত্রকের উপর সঠিক নজর দেওয়া হয় না। বিশেষ নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে। আমিও দীর্ঘদিন রেলমন্ত্রী ছিলাম। তখন এই মন্ত্রককে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হত। রেল বাজেট আলাদাভাবে হত। সেটাও হয় না এখন।” মন্ত্রকে কোনও কোঅর্ডিনেশন নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ভয়াবহ দুর্ঘটনার জেরে বাংলার যে সব মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা জানি রেলের তরফে এমন মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটলে ১৫ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়। এখন বোধহয় ১০ লাখ হয়েছে সেটা। আমাদের রাজ্যের তরফ থেকেও মৃতদের পরিবার পিছু পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।”