বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর থেকে ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ। এবার সেই পদ থেকে সরিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে ‘অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি’ পদে বসানো হয়েছে সন্দীপ ঘোষকে। তাতেও থামছে না বিতর্ক। সন্দীপকে নতুন পদ দিতেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। এই আবহে এবার রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে সরব হলেন তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)।
সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে কী লিখলেন দেবাংশু (Debangshu Bhattacharya)?
বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন তৃণমূলের আইটি সেলের ইনচার্জ। সরকারের (Government of West Bengal) পক্ষ নিয়ে দেবাংশু লেখেন, ‘আবার একদল বলতে শুরু করেছে ‘সন্দীপ ঘোষকে আবার একটা পদে দিল সরকার’। আরে ভাই শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল ওকে কোনও ইনস্টিটিউশনের মাথায় বসানো যাবে না। তাই ওকে স্বাস্থ্য ভবনে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। সে একজন সরকারি কর্মচারী, কোথাও না কোথাও তো তাঁকে পোস্টিং দিতেই হবে! তাঁকে কি বসিয়ে স্যালারি দেবে সরকার?’
এখানেই না থেমে দেবাংশু লেখেন, ‘আর বরখাস্ত কেউ তখনই হয়, যখন কারোর দোষ আদালতে প্রমাণিত হয়। ততদিন পর্যন্ত সন্দীপ ঘোষকে জামাই আদর করে পয়সা দেবে সরকার? তাঁকে দিয়ে কাজ করাবে না? আজব তো!’
আরও পড়ুনঃ বিদেশ থেকে ফিরেই চরম বিপদ! শহরে এসেই হাসপাতালে ছুটলেন দেব, হঠাৎ কী হল?
সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে দেবাংশু (Debangshu Bhattacharya) এই পোস্ট করলেও তাতে বিতর্ক কিন্তু কমেনি। অনেকেই তৃণমূলের যুব নেতার সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি। বরং এটা তৃণমূলের চরিত্র বলে আক্রমণ শানিয়েছেন অনেকে। কেউ আবার প্রশ্ন তুলেছেন, কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠালে কোন ক্ষতি হতো? কেউ কেউ আবার সন্দীপ কে বরখাস্ত করা উচিত ছিল বলেও দাবি করেছেন।
এদিকে যাকে নতুন পদে বসানো নিয়ে বিতর্ক, সেই সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) লাগাতার ৭ দিন ধরে সিবিআই জেরার সম্মুখীন হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার তাঁকে নিয়ে শিয়ালদহ আদালতে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও ঠিক কী কারণে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।