বাংলা হান্ট ডেস্ক : এ বছর ঠান্ডা বেশ ভালই পড়বে এমনটাই জানানো হয়েছিল আবহাওয়া দফতর সূত্রে। কিন্তু ঠান্ডার দাপট যে এতটা বেশি হবে তা বোধহয় ঘুণাক্ষরেও টের পাওয়া যায়নি, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে নয় রাজধানী শহর দিল্লিতেও হাড় কাঁপানো ঠান্ডা পড়েছে। এমনকি বইছে শৈত্যপ্রবাহ। বৃহস্পতিবার থেকেই তাপমাত্রার পারদ আস্তে আস্তে এক ধাক্কায় অনেকটাই নেমে গেছে তাই শনিবার রাজধানী শহরের তাপমাত্রার পারদ ছুঁল 1 ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এই মরসুমে অর্থাত্ বর্ষবরণের আগে শীতলতম দিন অন্য দিকে 120 বছরের রেকর্ড ভেঙে ছিল এই ঠান্ডা।
জানা গিয়েছে দেশে এর আগে 1901 সালে এত তীব্র ঠান্ডা পড়েছিল। যদিও চলতি সপ্তাহের আগে অর্থাত্ 14 ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই কমতে শুরু করেছিল। আর এভাবেই নামতে নামতে বছরের শেষে তাপমাত্রা পৌঁছেছে 1 ডিগ্রী সেলসিয়াসে, তবে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রার তারতম্য রয়েছে। যেমন দিল্লির লোধি রোডে 1.7, অন্য দিকে আবার আয়া নগরে 1.9 ডিগ্রী সেলসিয়াস, সফদরগঞ্জের তাপমাত্রা ছিল 2.4 ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজধানী শহরের টানা তেরো দিন ধরে এই নিয়ে শৈত্যপ্রবাহ জারি রয়েছে। তবে ডিসেম্বর মাসেই এত ঠান্ডার দাপট লক্ষ্য করা গিয়েছিল 1997 লে। যদিও তার পর অর্থাত্ 1998, 2003, 2014 সালেও ব্যাপক হারে ঠান্ডায় কেঁপে উঠেছিল রাজধানী শহর। রাজধানী শহরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রাও অনেকটাই কমেছে। এক কথায় পশ্চিমবঙ্গের দুই বঙ্গ অর্থাত্ উত্তর এবং দক্ষিণ দুই কি কাঁপছে ঠান্ডার দাপটে।
বুধ বৃহস্পতি ও শুক্র এই তিন দিন টানা দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়াঅফিস সূত্রে জানানো হয়েছে উত্তর পশ্চিম ভারতের ওর পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হওয়ায় বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে আর তাই উত্তুরে হাওয়াকে বঙ্গে ঢুকতে বাধা দেবে এবং বৃষ্টি শুরু হবে।