বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চতুর্থ দফার ভোটে রক্তাক্ত বাংলা। আজ ৫ জেলায় মোট ৪৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। সর্বত্র বিক্ষপ্তি অশান্তির খবর মিললেও কোচবিহারের শীতলকুচির গুলি কাণ্ড এখন আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু। এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪জন। তারপর থেকেই শুরু হয়ে যায় জোর রাজনৈতিক চাপানউতোর।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমিত শাহের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, আমিত শাহের নির্দেশেই এহেন কাণ্ড ঘটিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শীতলকুচির ঘটনায় মূল সড়যন্ত্রী তিনি। তাই আমিত শাহের (Amit Shah) পদত্যাগ করা উচিত বলে দাবি করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে শীতলকুচির গুলি চালানোর ঘটনায় শিলিগুড়ির জনসভা থেকে সরাসরি মমতাকে (Mamata Banerjee) বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তাঁর দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানির কারণেই আজকের গুলি কাণ্ড। মোদীর কথায়, “দিদি ১০ বছর সরকার চালিয়ে এখন কীভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ‘ঘেরাও করা’ যায় তার পাঠ দিচ্ছেন”। এমনকি গেরুয়া শিবিরের গলায়ও একই সুর। ঘটনার শুরু থেকেই তাঁরা দাবি করে আসছে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বাহিনী ঘেরাও’ বক্তব্যই আজকের হিংসার কারণ।
এবার এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর দাবি অবিলম্বে মমতাকে গৃহবন্দী করা উচিত। কারণ তৃণমূল নেত্রীর উস্কানিতেই ঘটেছে এই ঘটনা। দিলীপ ঘোষের আরও অভিযোগ, যেখানে মমতা হার নিশ্চিত দেখছেন, সেখানেই উস্কানি দিয়ে ঝামেলা পাকাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) কাজে বাঁধা দিচ্ছেন, এমনকি তাঁদের উত্যক্ত করছেন বলেও অভিযোগ করে তিনি। এখানেই থেমে না থেমে দিলীপ ঘোষ এও বলেন, ভোটাররা নিজের ভোট নিজে দিচ্ছেন, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিচ্ছেন উস্কানি। তাই ওঁকে অবিলম্বে গৃহবন্দী করা উচিত।
জানিয়ে দি, গত সপ্তাহেই কোচবিহারের (Cooch Behar) জনসভায় যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে একহাত নিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে বাহিনী। এমনকি গ্রামে গ্রামে গিয়ে তাঁরা বিজেপিতে ভোট দিতে বলছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন মমতা। তখন মমতার নিদান ছিল প্রয়োজনে বাহিনীকে ‘ঘেরাও করার’।