কোম্পানির ৫০০ কর্মীকে কোটিপতি বানিয়েছেন ‘মানবিক বস”, সামান্য সময়েই করেছেন অসাধ্য সাধন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে সকলেই চান ভালো অর্থ রোজগারের মাধ্যমে এক্কেবারে নিশ্চিন্তে জীবন কাটাতে। যে কারণে সবাই দিনরাত এক করে কঠোর পরিশ্রম করলেও ভাগ্যের পরিহাসে কেবল গুটিকয়েক জনই পৌঁছতে পারেন সাফল্যের চূড়ায়। আর তাঁদের এই সফলতা অনুপ্রেরণাও জোগায় অন্যদের।

আমাদের দেশে সাধারণত মোটা অঙ্কের চাকরি বা ভালো কোনো ব্যবসার জেরে অনেকেই কোটিপতির শিরোপা অর্জন করতে পারেন। কিন্তু, কখনও শুনেছেন যে ভারতেরই কোনো কোম্পানির ৫০০ জন কর্মচারী একইসাথে কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন? শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও এটাই কিন্তু একদম সত্যি। বর্তমান প্রতিবেদনে সেই প্রসঙ্গই বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হল।

সম্প্রতি একটি কোম্পানি রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছে সর্বত্র। যে কারণে সেটি খুব সহজেই উঠে এসেছে খবরের শিরোনামেও। জানা গিয়েছে যে, ওই সংস্থার ৫০০ জন কর্মচারী মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই কোটিপতি হয়ে উঠেছেন। আর এটা শুনেই স্বাভাবিকভাবেই অবাক হয়েছেন সকলে। আর যে কোম্পানিটি এই অসাধ্য সাধন করেছে সেটির নাম হল FreshWorks Customer Service Software Maker Company।

এদিকে, এই ঘটনার পরেই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতাকে নিয়েও শুরু হয়েছে জোর চর্চা। গিরিশ মাতৃভূতম নামের এক ব্যক্তির হাত ধরেই শুরু হয় FreshWorks-এর পথচলা। অর্থাৎ, এই কোম্পানির কর্মচারীদের কোটিপতি হওয়ার পেছনে যার সবচেয়ে বেশি অবদান আছে তিনি হলেন গিরিশ মাতৃভূতম।

জানা গিয়েছে যে, কিছুদিন আগেই এই কোম্পানি Nasdaq Stock Exchange-এ সামিল হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটিতে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার বিশাল সম্পদের সম্ভার রয়েছে। এমনকি, এই কোম্পানির শেয়ারও লিস্টিং প্রাইসের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি দামে ট্রেড করছে। এমতাবস্থায়, কোম্পানির IPO-র কারণে কর্মচারীরাও কোটিপতি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

এদিকে, এই ৫০০ জন কর্মচারীর মধ্যে ৬৯ জনের বয়সই ৩০ বছরের মধ্যে। অর্থাৎ, খুব কম বয়সেই গিরিশের হাত ধরে সফলতার স্বাদ পেয়েছেন এই যুবকরাও। এই প্রসঙ্গে FreashWorks-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও গিরিশ মাতৃভূতম জানিয়েছেন যে, “আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যে, কর্মচারীরাই কোম্পানিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। তাই, তাঁদেরও তাঁদের অংশ পাওয়া উচিত। এই অধিকার শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠাতাদের ধনী হওয়ার জন্য না। ইতিমধ্যেই আমাদের ৫০০ জনেরও বেশি ভারতীয় কর্মীরা কোটিপতি হয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি এটি তাঁদের প্রাপ্য এবং তাঁরা এটি অর্জন করেছেন। কারণ তাঁদের সকলেই এই বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছেন।”

1632719096992

পাশাপাশি, তিনি আরও জানিয়েছেন, এই উত্তরণ অনেক কর্মচারীর জীবনে পরিবর্তন আনতে চলেছে। সবচেয়ে মজার বিষয় হল, কোম্পানিটি ২০১০ সালে চেন্নাইতে মাত্র ছ’জন সদস্য নিয়ে তার কার্যক্রম শুরু করেছিল। তবে, বর্তমান সাফল্যে পৌঁছনোর আগে ২০১৫ সালে এই কোম্পানিতে ৫০০ জন কর্মী ছিল। এছাড়াও, মোট ৭৬ শতাংশ কর্মচারী এই কোম্পানির শেয়ারের মালিক বলেও জানা গিয়েছে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর