বাংলা হান্ট ডেস্ক : পুরসভা নিয়োগ (Municipality Recruitment) দুর্নীতি কাণ্ডে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এখনও সেই দুর্নীতির তল খুঁজতে ব্যস্ত ইডি-সিবিআই। দিনকয়েক আগে মন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী কর্মকর্তার দল। খানাতল্লাশি চালানো হয় বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতেও। দুর্নাম ঘোচাতে এবার তড়িঘড়ি গ্রুপ–ডি পদে নিয়োগ (Group D Recruitment) নিয়ে নড়েচড়ে বসল রাজ্য সরকার (Government Of West Bengal)। নেওয়া হল বড় সিদ্ধান্ত।
সূত্রের খবর, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাতে রাজনীতির রং না লাগে তার জন্য চেয়ারম্যানদের সরিয়ে সমস্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকরা। সূত্রের খবর, রাজ্য জুড়ে নিয়োগ দুর্নীতির মধ্যে ফের যেন দুর্নীতির অভিযোগ না ওঠে তার জন্যই এই ব্যবস্থা নিয়েছে নবান্ন (Nabanna)। মনে করা হচ্ছে, চেয়ারম্যান এতে যুক্ত থাকলে সেখানে স্বজনপোষণ বা দুর্নীতি হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। তবে এবার নিয়োগ জেলাশাসকদের হাত দিয়ে হলে সেই সম্ভাবনা থাকবেনা।
অর্থাৎ রাজ্যের মোট ১২৮টি পুরসভাতে নিয়োগ হবে যোগ্যতার ভিত্তিতেই। সেই সাথে নবান্নের দাবি, বামফ্রন্ট আমলে ঘটে যাওয়া দুর্নীতির দায় এখন তৃণমূল সরকারকে বহন করতে হচ্ছে। সেটা যাতে আর না হয় তাই এই নয়া উদ্যোগ। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮ সালে ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন গঠন করে তৃণমূল সরকার। গোটা বাংলার সমস্ত পুরসভার গ্রুপ এ, বি এবং সি কর্মী নিয়োগের দায়ভার দেওয়া হয় এই কমিটির হাতে।
আরও পড়ুন : রাম মন্দিরকে পূর্ণ সমর্থন! সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘জয় শ্রী রাম’ লিখে বিশেষ বার্তা দিলেন কিরণ দত্ত
তবে গ্রুপ ডি নিয়োগের দায়িত্বে ছিল পুরসভা। আর এতেই সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। যে দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে গত বছর থেকে। বলে রাখা ভালো যে, গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের জন্য কোনও বড় ডিগ্রির প্রয়োজন হয়না। এইট পাশ সার্টিফিকেট থাকলেই আবেদন করা যায় এখানে। যে কারণে আবেদন পত্রও জমা হয় প্রচুর। সেই সুযোগে দুর্নীতিও হয়েছে ভরপুর।
আরও পড়ুন : ‘একঘরে করে দিয়েছে, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি’, সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলার মাশুল গুনছেন তাপস পালের স্ত্রী
শোনা যাচ্ছে, গ্রুপ-ডি এর নিয়োগের দায়ভার চেয়ারম্যানদের হাতে থাকায় শুরু হয় দুর্নীতির মড়ক। ইডি-র হস্তক্ষেপের কারণে দুর্নীতির খুঁটিনাটি বাইরে আসতেই তটস্থ হয়ে ওঠে রাজ্য সরকার। সরকারের বদনাম শুরু হতেই এবার নয়া পদক্ষেপ নিল নবান্ন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের যেন দুর্নীতির মড়ক না লাগে তাই দায়িত্ব থেকে সরানো হল চেয়ারম্যানদের। জেলাশাসকদের হাত ধরেই দুর্নীতির হাত থেকে রেহাই মিলবে বলে আশা করছে রাজ্য সরকার।