পাতে পড়বে বড় সাইজের মাছ! বিশেষ উদ্যোগ রাজ্যের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাঙালির পাতে মাছ ছাড়া চলে না। এদিকে বড় মাছের বেশিরভাগেরই যোগান দেয় ভিন রাজ্য। এবার এই প্রবণতা কমাতে বড় উদ্যোগ রাজ্যের (Government of West Bengal)। ভিন রাজ্য থেকে বড় রুই, কাতলা আমদানি করার প্রবণতা কমাতে হবে। সেই লক্ষ্যে বড় সাইজের মাছ উৎপাদনে (Big Size Fish Farming) এবার বিশেষ জোর দিচ্ছে মৎস্যদপ্তর।

রাজ্যের চাহিদা মেটাতে বড় মাছ চাষে যাতে নিজেরাই স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারে সেই লক্ষ্যে এবার কাজ করতে চাইছে মৎস্যদপ্তর। পুকুর বা ছোট জলাশয় গুলোতে গড়ে ৫০০-৭০০ গ্রামের মাছ অধিক চাষ হয়। এবার দেড় কেজি ওজোনের মাছ চাষে জোর রাজ্যের। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। মৎস্যদপ্তর তরফে জেলায় জেলায় বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, নির্দেশ রয়েছে মাছ চাষের উপভোক্তা বাছাই করবে পঞ্চায়েতগুলি। জেলায় জেলায় প্রতি হেক্টর বড় জলাশয়ে ১৪ মাস ধরে রুই কাতলাদের চাষ হবে। বড় করা হবে। দেড় কেজি বা তার বেশি ওজন হলেই সংশ্লিষ্ট মৎসজীবী সেই মাছ তুলে বিক্রি করতে পারবেন। সেই মাছ লালন-পালনে যা খাবারের খরচ হবে তা বহন করবে।

তবে এক্ষেত্রে একাধিক শর্তও রয়েছে। প্রথমত, যাদের কাছে মৎস্যজীবী রেজিস্ট্রেশন কার্ড থাকবে না তারা এই কাজে যুক্ত হতে পারবেন না। আবার কোনো মাছের ওজন দেড় কেজি হওয়ার আগেই যদি তা তুলে নেওয়া হয় সেক্ষেত্রে ওই মাছের খাবারের টাকা দেওয়া হবে না। এই গোটা বিষয়টি জেলা মৎস্য আধিকারিকরা দেখবেন।

আরও পড়ুন: আলু-পেঁয়াজের আগুন দাম! এবার কড়া নিদান মমতার, স্বস্তি পাবে আমজনতা!

রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে ৪৩০ হেক্টর জলাশয়ে এই দেড় কেজি ওজোন বা তার বেশি ওজনের মাছ চাষ হবে। একজন ব্যক্তি এক হেক্টর জলাশয়ে মাছ চাষ করতে পারবেন। সমবায়ের ক্ষেত্রে তা হবে তিন হেক্টর। মূলত যাতে প্রতি হেক্টরে সাড়ে ১৩ হাজার কেজি মাছ উৎপাদন হয় সেই লক্ষ্যে কাজ হবে।

fish 2

আরও পড়ুন: চাপ চাপ রক্ত, হাত-পা ভাঙা! ৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে এভাবে খুন! ঘটনা শুনলে রক্ত জল হবে

ইতিমধ্যেই বড় মাছ চাষের জন্য জলাশয় চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, কোচবিহার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদহ ও পূর্ব বর্ধমান এই সব জেলায় এই বড় সাইজের মাছ চাষের কাজ শুরু হবে।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর