বাংলাহান্ট ডেস্ক : শাসক দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার দুবরাজপুর পঞ্চায়েতও। এমন অবস্থায় দলীয় নেতাকর্মীদের বার্তা দিলেন সাংসদ শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy)। শতাব্দী রায় শুক্রবার বৈঠক করেন দুবরাজপুরে পাঁচটি অঞ্চলের নেতাদের সাথে। সেই বৈঠকে শতাব্দীর স্পষ্ট বার্তা, গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব করে লাভ হবে না কোনও।
সম্প্রতি দুবরাজপুরে দলের ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্রকে অপসারণ করে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ১৫ জন সদস্যকে নিয়ে গঠিত করা হয়েছে কমিটি। সেখানকার বৈঠকে শতাব্দী বলেছেন যে তৃণমূলের তৈরি করা কমিটি যথেষ্ট শক্তিশালী। তিনি ওই কমিটির সাথেই রয়েছেন। সতর্ক করে শতাব্দীর বক্তব্য যে নতুন করে গ্রুপ তৈরি করলে তা সফল হবে না।
শুক্রবার সেখানেই শতাব্দী রায় বলেন, “যদি কেউ ভাবেন কমিটিকে বাদ দিয়ে দু-তিনজনকে নিয়ে গ্রুপ করবেন তাহলে ভুল ভাবছেন। জলের বিপরীত স্রোতে চলা যায় না। বন্ধ করতে হবে গ্রুপ বাজি।” গতকাল থেকে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন প্রক্রিয়া। এমন আবহে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের এই মন্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শতাব্দীর কথায়,”একটা কথা মনে রাখবেন, একা কিছু করা যায় না। যদি বুদ্ধি থাকে তাহলে কমিটিকেই সমর্থন করুন।” বৈঠক শেষে শতাব্দী রায়ের বক্তব্য,”যাতে ভালোভাবে নির্বাচন হয় সেই বার্তাই দিয়েছি। দুবরাজপুরকে নিয়ে অনেক উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে।” অন্যদিকে, জেলার বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছে, তৃণমূলে যে চূড়ান্ত পরিমাণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে তা স্বীকার করে নিলেন খোদ সাংসদই।
দুবরাজপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অরূপ সাহার বক্তব্য, “দল থেকে বেরিয়ে গ্রুপ বাজি করছেন দুবরাজপুর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। এমন অভিযোগ আমরা করছি না। ওদের দলের সংসদ শতাব্দী রায় নিজেই এই অভিযোগ করছেন। দুর্নীতির জন্য ওনাকে সরানো হয়েছিল। আমরা বারবার বলে আসছি তৃণমূল দুর্নীতি ছাড়া বাঁচতে পারবেনা।”