করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার প্রস্তুতিতে ভারতের সেনা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মহামারির আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাস (COVID-19) নিয়ে উদ্বিগ্ন সকলে। এই অবস্থায় আগামী ২২ শে মার্চ অর্থাৎ রবিবার সকাল ৭ টা থেকে বিকেল ৯ টা পর্যন্ত মোদী (Narendra Modi) সরকার জনতা কার্ফুর ডাক দিয়েছেন। এবং সকল ভারতবাসীকে এই পন্থা অবলম্বন করতে আনুরোধ করছেন। এই অবস্থায় সীমান্ত এলাকায় প্রয়োজনীয় জিনিস একত্রিত করছে সেনাবাহিনী। জম্মু-কাশ্মীরের অধিবাসীদের যাতে কোন সমস্যায় না পড়তে হয়, তার জন্য সেনাবাহিনী সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

army 8
করোনা মোকাবিলা প্রসঙ্গে সমগ্র দেশ এখন একজোট হয়েছে। আর এই সময় ভারতের প্রসংশায় পঞ্চমুখ হয়েছে WHO। এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীরের যাতে কোন সংকট জনক পরিস্থিতিতে সৃষ্টি না হয়, তার জন্য বায়ুসেনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কাশ্মীরে একদিকে তুষারপাতের কারণে বিভিন্ন রাস্তাঘাট বন্ধ রয়েছে এবং অপরদিকে করোনা ভাইরাসের জন্য বাজারও বন্ধ রয়েছে। এই সময় কোন জরুরি প্রয়োজনীয় জিনিসের প্রয়োজনে একমাত্র ভারতীয় বায়ুসেনাই ভরসা।

কাশ্মীরে করোনা পরিস্থিতিতি সামাল দেওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্যামিকেলের প্রয়োজন ছিল। এই সময় কাশ্মীরের প্রশাসন সেনাবাহিনীর সাহায্য প্রার্থী হয় এবং তারপর ভারতীর সেনা এবং বায়ুসেনা তাঁদেরকে এই বিষয়ে সাহায্য করে।
করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যে কোনরকম প্রয়োজনীয় জিনিস বায়ুসেনা সর্বদা পৌঁছে দিতে সক্ষম। এই সময় যদি সেনাবাহিনী সাহায্য না করত, তাহলে দেশের পক্ষে খুবিই সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হত। যে দ্রব্য পেতে প্রায় ১০ দিন সময় লাগত, তা খুব দ্রুতই সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লী থেকে প্রয়োজনীয় ক্যামিকেল যা আনতে ১০ দিন সময় লাগত, তা ভারতীয় সেনাবাহিনী ১ দিনের মধ্যে নিয়ে এসেছে।

army 22

পৃথিবী ব্যাপী মহামারি সৃষ্টিকারি এই রোগ অল্প সময়ের মধ্যেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সমগ্র বিশ্বে এখনও অবধি এই রোগের প্রকোপে আক্রান্ত হয়েছেন আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২৪৫৬৪৮ এবং মৃতের সংখ্যা প্রায় ১০০৪৮। ভারতেও এই রোগের প্রভাব বিস্তার ঘটতে শুর করে দিয়েছে। এখনও অবধি ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। কলকাতাতে ইতিমধ্যে দুজনের শরীরে মিলেছে এই রোগের জীবাণু। আক্রান্তদের বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর