বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে (India) গণপরিবহণের ক্ষেত্রে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল রেলপথ (Indian Railways)। শুধু তাই নয়, ভারতীয় রেলকে দেশের লাইফলাইনও বলা হয়ে থাকে। এদিকে, সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে রেলের যাত্রী সংখ্যা। এমতাবস্থায় ক্রমবর্ধমান যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে রেলের তরফে নেওয়া হচ্ছে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এছাড়াও রেলপথকে গতিশীল করে তোলার পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে নতুন রেলপথ।
ইতিমধ্যেই বন্দে ভারতের মতো সেমি হাই স্পিড ট্রেন দেশজুড়ে সফর শুরু করেছে। পাশাপাশি জোর কদমে চলছে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজ। ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে, ২০২৬ সালের মধ্যেই বুলেট ট্রেন প্রকল্পের প্রথম অংশের কাজ শেষ হবে। তবে, এই আবহেই আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এবার সামনে এসেছে। যেটি জানার পর অবাক হবেন প্রত্যেকেই। মূলত আজ আমরা আপনাদের ভারতীয় রেলের তরফে তৈরি করা দেশের প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড রেলওয়ে স্টেশন সম্পর্কে জানাবো।
সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এটি তৈরি হচ্ছে আমাদের রাজ্য অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গেই। হ্যাঁ ঠিক শুনেছেন, মূলত এই স্টেশন তৈরি হচ্ছে তিস্তা বাজারে। যেটির কাজ শেষ হলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিকিমে যাতায়াত আরও মসৃণ হয়ে উঠবে। এদিকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিকিমে শুরু হতে চলেছে রেলপথ।
আরও পড়ুন: রামলালার দর্শন করতে করতেই মস্তিষ্কে হল জটিল অস্ত্রোপচার! “ভগবানের কৃপায়” সুস্থ হলেন রোগী
এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি আগামী বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালের মধ্যেই শেষ হবে। অর্থাৎ এখন এই প্রকল্পে চলছে জোরকদমে কাজ। এই প্রসঙ্গে প্রোজেক্ট ডিরেক্টর মহিন্দর সিং জানিয়েছেন যে, এই রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য হবে ৬২০ মিটার এবং টানেলের দৈর্ঘ্য হবে ৬৫০ মিটার। পাশাপাশি, এই স্টেশনে পূর্ণদৈর্ঘ্যের ট্রেন দাঁড়ানোর পাশাপাশি যাত্রীদের জন্য রয়েছে সঠিক ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থাও। এছাড়াও আপৎকালীন ব্যবস্থার জন্য যাত্রীদের নিরাপত্তার লক্ষ্যে আরও একটি অতিরিক্ত টানেল তৈরি করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: অনবদ্য খান ব্রাদার্স! এবার ইতিহাস তৈরি করলেন সরফরাজ খানের ভাই মুশির, গড়লেন দুর্ধর্ষ নজির
তিনি আরও জানান, রেলের ব্রডগেজ নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে এই রেলস্টেশনটি হবে দেশের প্রথম ভূগর্ভস্থ রেলওয়ে স্টেশন। এটি নির্মাণের পর তিস্তা বাজার থেকে দার্জিলিং এবং সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক খুব সহজেই পৌঁছতে পারবেন পর্যটকরা। সেখান থেকে মাত্র ২ ঘণ্টায় দার্জিলিং পৌঁছে যাবেন তাঁরা। এছাড়াও, সামগ্রিকভাবে এই স্টেশন সিকিমের পর্যটনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।