বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মধ্য এশিয়ার অন্তর্গত কিরগিজস্তান (Kyrgyzstan) দেশে ক্রমাগত মাংসের দাম বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। সম্প্রতি প্রতি কেজি মাংস প্রায় ৬০০ টাকায় পৌঁছেছে আর এবার এই বৃদ্ধিপ্রাপ্ত দাম প্রসঙ্গে বিতর্কিত এবং অযৌক্তিক মন্তব্য করে বসলেন সে দেশের মৌলানা সদয়বকাস ডুলভ (Sadybakas Doolov)। দেশের সকল নারীদের উদ্দেশ্য করে তাঁর বক্তব্য ইতিমধ্যে গোটা দেশে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৌলানার দাবি, “নারীদের কম পোশাক পড়ার কারণেই মাংসের দাম দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে।” তাঁর এই বক্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি গোটা দেশ জুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
সম্প্রতি, মৌলানা ডুলভ বলেন, “বর্তমানে মহিলারা তাদের আঙ্গুলের মত থাই বা উরুকে প্রদর্শন করে চলে। এর ফলে মহিলাদের মাংস সস্তা হয়ে গিয়েছে এবং দেশে মাংসের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি মাংসের দাম কমাতে হয়, তবে মহিলাদের বেশি পোশাক পড়তে হবে।” সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে মৌলানা জানান, “মহিলারা বর্তমানে নিজেদের শরীর দেখিয়ে চলেছে। তাই নিজেদের সস্তা করার পাশাপাশি তারা মাংসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য দায়ী। লোকের মনে বর্তমানে প্রশ্ন জেগেছে, মাংস কেন দামি হয়ে যাচ্ছে? আসলে মহিলাদের মাংস সস্তা হওয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটছে। মহিলারা তাদের উরু, আঙ্গুলের মত প্রদর্শন করতে শুরু করে দিয়েছে।”
মৌলানার এই মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই গোটা দেশ জুড়ে বিতর্কে সৃষ্টি হয়। দেশে মহিলাদের পাশাপাশি অন্যান্য বিভিন্ন মহল থেকে তাঁর বক্তব্যের সমালোচনা করা হয়। অনেকে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। তবে এর মাঝে আবার নিজের বক্তব্যের সাফাই দিয়েছেন ডুলভ। তিনি বলেন, “আমার বক্তব্যকে ভুল ভাবে নেওয়া হচ্ছে। আমি শুধু এইটুকুই বলতে চেয়েছি যে, দেশের বুকে যে সকল সমস্যা হচ্ছে, তার জন্য শুধুমাত্র কর্মকর্তারা দায়ী নয়।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কিরগিজস্তান দেশে মাংসের দাম হু হু করে বেড়ে চলেছে। ইতিমধ্যেই প্রতি কেজি মাংস ৬০০ টাকায় পৌঁছেছে এবং পরবর্তীতে এর দাম আরো বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
তৃণমূলের গৃহযুদ্ধ! কল্যাণের ‘মাথায় কার হাত!’ মন্তব্যের পাল্টা দিলেন তৃণাঙ্কুর