বাংলাহান্ট ডেস্ক : “প্রেমেরও ফাঁদ পাতা ভুবনে, কে কোথা ধরা পড়ে কে জানে…” কথায় বলে প্রেমে পড়লে বুদ্ধিমান মানুষেরাও বোকা হয়ে যায় আর বোকারাও হয়ে যায় অতি চালাক। কিন্তু, এই প্রেম যেন এক অন্য গল্পের কথা বলে। সিনেমার দৃশ্যে ট্রেন জার্নিতে একে অন্যের প্রেমে হাবুডুবু খেলেও বাস্তবে তা সত্যিই বিরল। তবে, এবার ঘটে গেল তেমনই এক ঘটনা।
পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির বাসিন্দা প্রেমিক যুবক তুহিনরঞ্জন কর্মসূত্রে থাকেন বিশাখাপত্তনমে। সম্প্রতি ট্রেনে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময়ে ভাইজ্যাক থেকে এক দক্ষিণী তরুণী ট্রেনে ওঠেন। বসেন তার কোচের সামনের সিটেই। ব্যস্, তারপর আর কী। এক্কেবারে ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট’। যেন রাস্কিন বন্ডের ‘দ্য আইজ হ্যাভ ইট’ গল্পের কোনও দৃশ্য।
আরোও পড়ুন : পিছিয়ে গেল আগামী বছরের মাধ্যমিক! পরীক্ষার দিনক্ষণ জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু
দক্ষিণী সুন্দরীর লাজুক হাসিতেই যেন সুবেশাকে মন দিয়ে ফেলেন তুহিন। চোখাচোখি করতে করতেই তরুণীর সৌন্দর্যে রীতিমতো মুগ্ধ হয়ে ওঠেন তিনি। এইভাবে কখন যে ঘন্টা তিনেক কেটে গিয়েছে তা বোধহয় টের পান নি ওই যুবক। তারপর চলে আসেন পালসা স্টেশনও। সম্ভবত ওই সুবেশা পালসা স্টেশনে নেমে যাওয়ার জন্য আর তাকে দেখা যায় নি।
আরোও পড়ুন : তাম্রলিপ্ত, কান্ডারী তো অনেক হল! এবার টুক করে দীঘা চলে যান রাতের এই ট্রেনে, পৌছে যাবেন ফাঁকায় ফাঁকায়
তাঁর দাবি, সেদিন ট্রেন থেকে নামার সময়ে তরুণী তাঁকে ফোন নম্বরও দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কোনও কারণে সেটা আর হয়ে ওঠেনি। এরপর তুহিন তথ্য জানার অধিকার আইনে ওই দক্ষিণী সুন্দরীর ফোন নম্বর জানার জন্য আর্জি জানান। সেই আর্জি খারিজ হয়ে গেলেও তুহিন অবশ্য এখনো পর্যন্ত আরটিআই করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে এবার দাবি করেন, ফোন নম্বর না দিলেও চলবে। শুধুমাত্র, তার বার্তাটুকু তরুণীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হলেই তিনি খুশি হবেন বলেই জানিয়েছেন। যুবকের আবদার, সম্ভব হলে যেন ভাইজ্যাক বা পালাসা স্টেশনে রেল পুলিশের উপস্থিতিতেই দু’জনের দেখা করানোর ব্যবস্থা করা হোক। তুহিন আশাবাদী, মানবিকতার দিক থেকে রেল তাঁর এই স্বপ্নপূরণ করবে।