বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের পালা চলছে তৃণমূলের অন্দরে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (abhishek banerjee) ঝাঁঝালো আক্রমণের পর কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়কে (kalyan banerjee) পাল্টা নিশানা করেন কুণাল ঘোষ। এবার এই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের মাঠে নামলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (madan mitra)।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করায় কল্যাণকে বিঁধলেন মদন মিত্র। তিনি বলেন, ‘রাতারাতি কয়েকজন বুড়ো খুব জ্ঞান দিচ্ছেন। কিন্তু মার খাওয়ার সময় এদের দেখা যেত না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন তৃণমূলের মাথায়। আর তারপরই অভিষেক। ও কোন ফালতু কথা বলেনি, আমি ওর পাশেই আছি। নিজের এলাকায় কোভিড মডেল তৈরি করতে চেয়েছে, আর সেটা করেও দেখিয়েছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘দলটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জিন টেস্ট করতে চাইলে, মদন মিত্র কিছুতেই তা মেনে নেবে না’। নাম না করে কিছুটা এইভাবেই কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন মদন মিত্র।
প্রসঙ্গত, করোনা আবহে নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের কথা চিন্তা করে, সর্বোপরি মানুষের কথা চিন্তা করে, সমস্ত অনুষ্ঠান আগামী ২ মাসের জন্য বন্ধ রাখার কথা বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড হারবারের মানুষের জন্য দিয়েছিলেন একগুচ্ছ নির্দেশিকা। কিন্তু দলের নেত্রীর বিরুদ্ধে গিয়ে তাঁর এমন মন্তব্যকে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মন্তব্য বলেই দাবি করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সমস্ত মন্তব্যকে একদমই আমল দিতে নারাজ শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদটি হল সর্বক্ষণের। সেই কারণেই এই পদে বসার পর কারো কোন ব্যক্তিগত মত আলাদা করে থাকে না। মমতাই নেতা এবং অভিষেক শুধুমাত্র একজন পদাধিকারী। এখনও পর্যন্ত অভিষেকের নেতৃত্বের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ত্রিপুরা, গোয়া জিতিয়ে মুখ্যমন্ত্রী করে দিলে, তখন অভিষেককে নেতা বলে মনে করা হবে’।