বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলায় এখন বইছে শিল্পের হাওয়া। তাই অভাব হবে না চাকরির। এই দাবি করলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেদিনীপুর কলেজ ও কলেজিয়েট ময়দান থেকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, অনেক কাজের সুযোগ রয়েছে বাংলায়। পাশাপাশি এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান গ্রিন পুলিশের ভাতা বৃদ্ধি, ভলান্টিয়ারদের ভাতা বৃদ্ধি, চুক্তিভিত্তিক গ্রুপ ‘সি’ ও গ্রুপ ‘ডি’ কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির ব্যাপারে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ব্রিগেডে একটা সভা ডেকেছি। বাংলার গর্জন। ট্রেনের বুকিং করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ট্রেনও দেওয়া হয়নি। মগের মুলুক নাকি? আমার কাছে দুঃখের খবর। কাল প্রদীপরা আমায় বলছিল যে খড়্গপুরে অনেক রেল কলোনি আছে। একসময় ওটা রেলেই ৯০ শতাংশ ছিল।”
আরোও পড়ুন : সতীর্থের ব্যাগ থেকে টাকা ঝেড়ে পগারপার! এবার চুরিচামারি শুরু করল পাকিস্তানি প্লেয়াররা
তিনি আরোও বলেন, “নির্বাচনের আগে ওখানকার আটটি ওয়ার্ডে জলের সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। ধমকানি দেওয়া হয়। বলা হয় যে বিজেপিকে ভোট না দিলে এলাকা থেকে সরিয়ে দেব। আমি এবার চ্যালেঞ্জ করে গেলাম, একটা বাড়ির জলের সংযোগ কাটলে, একটা বাড়ির বিদ্যুতের সংযোগ, একটা বাড়ির লোককে উচ্ছেদ করলে…..। মনে রাখবেন, আমরা কেউ ঘাসে মুখ দিয়ে চলি না। আমরা ঘাসকে রক্ষা করি।’
আরোও পড়ুন : অভিষেকের বিরুদ্ধে লড়তে ভয় পাই না! লক্ষ লক্ষ ভোটে হারাব, গর্জে উঠলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ‘গ্যারান্টি’ দাবির পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার সরকার গ্যারান্টি দিলে সেটা রক্ষা করা হয়। আর দিল্লির সরকার গ্যারান্টি দিলে ওটা বর্জন হয়। ওটা কাজে লাগে না। নির্বাচনের আগে গ্যাস বেলুন। নির্বাচনের পরেই গ্যাস বেলুন ফুটো হয়ে যায়।’ এর সাথে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘চাকরি-বাকরির অভাব হবে না।”
তিনি আরোও বলেন, ” সারা মেদিনীপুরে চলছে শিল্পের আভা। মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম থেকে শুরু করে হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ – মনে রাখবেন, সব জায়গায় হাওয়া চলছে। শিল্পের হাওয়া। শিল্প এখন কোথায় হচ্ছে? বাংলায় হচ্ছে। তাই বাংলাকে ওরা ভয় পাচ্ছে।’