বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার সকালে ভয়াবহ এক ট্রেন দুর্ঘটনা। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের কাছে কলকাতাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি। যাতে লাইনচ্যুত হয়ে যায় ওই ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি। এই ঘটনার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন একাধিক। এবার এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
এদিন সকালে ট্রেন দুর্ঘটনার (Kanchanjungha Express Accident) খবর পাওয়ার পরেই এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্ধারকাজের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্যসচিবকেও নির্দেশ দেন বলে খবর। এরপরেই উত্তরবঙ্গ (North Bengal) যাওয়ার তোরজোড় শুরু করেন তিনি। তবে বিমান জটিলতার কারণে ইচ্ছা থাকলেও সকালে উত্তরবঙ্গ যেতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। শেষ অবধি বিকেলের বিমানে রওনা দেন তিনি।
এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছেই কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগেন তৃণমূল সুপ্রিমো। রেলের যাত্রীসুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, এর আগে পুরীতে যে ঘটনা ঘটল, আমি সেখানেও গিয়েছিলাম। এখনও মনে হয় ওখানে প্রচুর দেহ পড়ে রয়েছে। যাদের কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি। হয়তো একসঙ্গে পুড়িয়ে দেওয়া হবে। অথচ যাদের গেল, তাঁদের তো গেল’।
আরও পড়ুনঃ রাজভবনের বাইরে থেকে কলকাতা পুলিশের কর্মীদের সরানো হোক! চরম নির্দেশ রাজ্যপালের
মমতা আরও বলেন, ‘দেখুন দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে, এখানে কারোর হাত নেই। এটা ঠিক। তবে এটাও ঠিক যে অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস চালু করেছিলাম, সেটা কোথায় গেল? এখন রেলে যাত্রী সুরক্ষা বলে কিছু নেই। অত্যন্ত নিম্নমানের পরিষেবা হয়ে গিয়েছে। উদ্বোধন ছাড়া এখন রেলে আর কিছু হয় না। রেল এখন কার্যত অনাথ। বাজেট অবধি হয় না। ভোটে জিততেই ব্যস্ত থাকে কেন্দ্রীয় সরকার’।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার খবর শোনার পরেই ঘটনাস্থলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মমতা। তবে বিমানবন্দর সূত্রে খবর, বিকেল সাড়ে চারটের আগে বাগডোগরা যাওয়ার কোনও বাণিজ্যিক উড়ান নেই। রাজ্য সরকারের যে বিশেষ বিমান রয়েছে সেটাও সোমবার মেলেনি। দিল্লি অথবা অন্য কোনও রাজ্য থেকে বিমান এনে যদি উত্তরবঙ্গ রওনা হতে হয় তাহলে বিকেল হয়ে যাবে। এদিকে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টারের ঝুঁকি দেওয়া হয়নি। শেষ অবধি বিকেলেই উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। বাগডোগরা নামার পর প্রথমেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে যাবেন মমতা।