বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নির্বাচনের পর যদি সেরকম পরস্থিতি সৃষ্টি হয়, তাহলে কংগ্রেস তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করবে। নির্বাচনের আগে কংগ্রেস সাংসদ তথা কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আবু হাশেম খান চৌধুরীর বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তিনি বলেন, আমরা আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে জোট করিনি। নিজেদের যাতে খারাপ ফল না হয়, সেই জন্য আব্বাসের সঙ্গে জোট করেছে বামেরা। আব্বাসের সঙ্গে জোট আমাদের কোনোভাবেই পছন্দ না।
মালদা দক্ষিণের কংগ্রেস সাংসদ আবু হাশেম চৌধুরীর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিয়ে সিপিএম-এর মালদা জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, গোটা রাজ্যে জোট হয়েছে। সংযুক্ত মোর্চায় বাম-কংগ্রেস-ISF সবাই আছে। কিন্তু এই জোট নিয়ে সাংসদ কি বলতে চাইছেন, সেটা স্পষ্ট নয়।
আরেকদিকে মালদহ জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব জানায়, আমরা ২০০-র বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরছি। নির্বাচনের পর কি হবে সেটা শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক করবে। তবে এই জোট-ঘোঁটের ফাঁদে পা দেবেনা রাজ্যের মানুষ। আবু হাশেম চৌধুরীর এই মন্তব্যের পর বিজেপির নেতা জানান, আমাদের রুখতে সবাই এক হবে এটা জানাই ছিল। এটা নতুন কিছু নয়। তবে দলীয় সাংসদের এহেন মন্তব্যের পর এখনও কংগ্রেসের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
কংগ্রেস সাংসদ আবু হাশেম চৌধুরীর মন্তব্যে এটা স্পষ্ট যে, নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস যদি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না হাসিল করতে পারে, তাহলে কংগ্রেস তৃণমূলকে সমর্থন করবে সরকার গড়তে। তবে এটাই প্রথম না যে জোট নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যে অস্বস্তি দেখা দিল, এর আগেও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বর সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট করায় বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন।