বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যখন নেতা হয়ে ওঠেন জননেতা! সোমের সন্ধ্যায় একেবারে অন্যরূপে বিজেপি নেতা (BJP Leader)। কোচবিহার জেলার পূর্ব বিবেকানন্দ পল্লি এলাকার বাসিন্দা অনাথ সোনালি রাজভরের কন্যাদান সারলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। শুধু তাই নয়, মা-বাপ হারা মেয়ের বিয়ের সম্পূর্ণ দায়িত্বও নিজের কাঁধে তুলে নিলেন নেতা।
সোনালিরা দু’ বোন। মা-বাবা কেউই জীবিত নেই। মেয়েদের বিয়ের বয়স হলেও বিয়ের দায়িত্ব নেওয়ার লোক না থাকায় বিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তবে এই পরিস্থিতিতে মুশকিল আসান হয়ে এগিয়ে এলেন স্থানীয় সাংসদ নিশীথ প্রামানিক। যেখানে বিয়ে কীভাবে হবে, তারই ঠিক ছিল না সেখানে মন্ত্রী এগিয়ে আসতেই সোমবার সন্ধ্যায় বিয়ে বাড়িতে উপচে পড়া ভীড়।
জানা গিয়েছে, সোনালির এক দিদি রয়েছে। তার নাম টুকি রাজভর। টুকি মানুষের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে কোনো মতে সংসার চালান। বোনকে বিয়ে দিতে চাইলেও আর্থিক দুর্দশার কারণে তা সম্ভব হচ্ছিল না। এর পর স্থানীয় এক
বিজেপির এক নেত্রীর মাধ্যমে নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করেন। সমস্যার কথা শুনে সোনালির বিয়ের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নেন মন্ত্রী। এমনকী দুই বোনের ইচ্ছেতে তাকে সম্প্রদানও করেন নিশীথ।
আনন্দের এই ঘটনা প্রসঙ্গে নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “বিয়ের উদ্যোগের কোনও বিষয় নয়। যেদিন বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল, সেদিনই হয়। শুধুমাত্র আমার কাছে সহযোগিতা এবং আমার উপস্থিতি ওনারা চেয়েছিলেন। আমি যেহেতু সোমবার বাড়িতেই ছিলাম তাই ভাবলাম আমি যদি যাই হয়ত ওনারা অনেক খুশি হবেন। আমরা যেহেতু সমাজের প্রতিনিধি, আমাদের মনে হয় মানুষের এই আনন্দ আবেগের মুহূর্তগুলোয় পাশে থাকা দরকার। আমার পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করেছি।”
পাশাপাশি পরবর্তীতেও কারও এই ধরনের সমস্যা হলে পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন মন্ত্রী। বোনের বিয়ের পর দিদি টুকি রাজভর বলেন, “আমি বোনের বিয়ে দিতে পারছিলাম না। উনি শোনামাত্রই আমার বোনের বিয়ের সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছেন। আমি খুবই খুশি। ওনার কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।”