যশোবন্তপুর এক্সপ্রেসে আগুন! যাত্রীদের মধ্যে ছড়ালো আতঙ্ক, ফের প্রশ্নের মুখে রেলযাত্রার নিরাপত্তা

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ আবারও ট্রেনে যাত্রী নিরাপত্তার ব্যাপার নিয়ে উঠে গেল প্রশ্ন। এবার সম্ভাব্য বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন যশোবন্তপুর এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। কিছুদিন আগেই করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা এবং তার পাশাপাশি আরও কিছু ছোটখাটো ট্রেন দুর্ঘটনা সাধারণ মানুষকে রেল যাত্রা নিয়ে আতঙ্কিত করে তুলেছে। সেই তালিকায় এবার একটি নতুন ঘটনা যুক্ত হলো।

এবারের ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মুজফফরপুর থেকে ব্যাঙ্গালুরুগামী ডাউন যশোবন্তপুর ট্রেনে। ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনা সাম্প্রতিক অতীতেও বেশ কয়েকটি ঘটেছে। এখানেও তেমনি একটি সমস্যা হয়েছিল। ট্রেনটি বীরভূমের কোপাই স্টেশনের কাছে আসার পর ট্রেনের জেনারেল কামরার নীচ থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। গেটে বসা কিছু যাত্রীর প্রথমে নজরে আসে এই ধোয়া ও আগুনের ব্যাপারটি। তারপর চেইন টেনে মহিলা ও বাচ্চা সহ সকলের লাইনের ওপরই লাফিয়ে নামেন ওই বগি থেকে।

কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে কোন বড় দুর্ঘটনা ঘটার আগেই সুরক্ষা কর্মীরা নিজেদের কাজ ঠিকঠাকভাবে সম্পূর্ণ করেন। কোনওক্রমে নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার আচমকা লেগে যাওয়া ওই আগুনটিকে নিভিয়ে ট্রেনটিকে সুরক্ষিত ঘোষণা করা হয়। এরপরে জানা গিয়েছে শান্তিনিকেতনের প্রান্তিক স্টেশনে দমকলের ইঞ্জিন গিয়ে ট্রেনের সাধারণ বগির তলার অংশ ঠাণ্ডা করে।

এর মধ্যেই যাত্রী সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বীরভূমের কোপাই স্টেশন পার হওয়ার পর ট্রেনটিকে দীর্ঘক্ষণের জন্য দাঁড় করানো হয়। কারোর কোন ক্ষতি না হলেও ট্রেনের তলা থেকে বেরোতে থাকা ধোয়ার পরিমাণ দেখে আতঙ্ক যাত্রীদের মধ্যে। খুব দ্রুততার সঙ্গে রেল কর্মীরা এসে নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে ধোয়া আর আগুন নিয়ন্ত্রণ আনেন।

অবশ্য তারা কাজ শুরু করার আগে যাত্রীদের ওই নির্দিষ্ট বগি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে সুরক্ষা নিশ্চিত করার পর ট্রেনটিকে আবার প্রান্তিক স্টেশনে এনে দাঁড় করানো হয়। খবর দেওয়া হয় বোলপুর দমকল বিভাগকে। তাদের তরফ থেকে ব্যবস্থা নিয়ে জল ব্যবহার করে ওই জেনারেল বগির নিচের অংশ ঠান্ডা করে সুরক্ষিত করা হয়। কিন্তু যাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় আর কতদিন ভুগবেন সেই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

 


Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর