তবে এভাবে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বস্তিবাসীরা প্রশ্ন তুলেছেন। বস্তির অনেকেই বলেন “প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের জন্য আমাদের জায়গা ফাঁকা করতে বলা হয়েছে” । কিন্তু এই পদক্ষেপটি এমন এক সময় নেওয়া হয়েছে যে তার জন্য রাতারাতি খালি করতে হতে পারে বস্তি । আর এভাবে নিজের বাড়ি, বাসস্থান ছেড়ে যেতে হবে শুনে চিন্তিত সবাই । এভাবে কি করে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া সম্ভব সেই নিয়ে ঊঠেছে একাধিক প্রশ্ন।
অন্যদিকে, নোটিশে বলা হয়েছে, “আপনি এএমসি জমিটি অচেতন করেছেন। আগামী সাত দিনের মধ্যে, আপনার সমস্ত জিনিসপত্র সহ এই জায়গাটি খালি করুন বা অন্যথায় এটি খালি করার জন্য বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনার যদি কোনও আবেদন জমা দিতে হয়, তবে আপনার ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩ টের মধ্যে তা জমা দিতে হবে”।এ বিষয়ে বস্তিবাসী শৈলেশ বিলওয়া বলেছিলেন, “এএমসির কর্মকর্তারা গত সাত দিনে এখানে অনেকবার এসেছেন। আমরা খালি করতে প্রস্তুত কিন্তু আমাদের বিকল্প আবাসন দরকার ।আমাদের এখানে অনেক শিশু এবং মহিলা আছেন তারা কোথায় থাকবে । আমাদের যদি অন্য কোনও স্থান না দেওয়া হয় তবে আমরা বাধ্য হয়েই ফুটপাথে থাকতে হবে” ।
কিছুদিন আগেই ট্রাম্প অবশ্য জানিয়েছিলেন তিনি ভারত সফরে আসবেন তাই তিনি বেজায় খুশি। কিন্তু সেই নিয়ে তিনি টুইট করে বলেন নরেন্দ্র মোদীর সাথে আবার তার দেখা হবে সেটাও তার কাছে খুশির কবর। পাশাপাশি এই সফরে কিছু উন্নতি হবে বলে অনেকেই মনে করছে । কিন্তু কি হবে তা এখনো বলা সম্ভব নয়। আর এই নিয়ে একাধিকবার অনেক মন্তব্য করেছেন তিনি। ভারতে এর আগেও তিনি এসেছেন। তবে এবার তার আসার পেছনে কতগুলি লখ্য আছে বলে মনে করছেন অনেকেই। ভারতের কি কি সুবিধা হবে তার এই ভারত সফরে এখন সেই অপেক্ষায় সবাই ।