বাংলাহান্ট ডেস্ক: ঘোর অন্ধকার সময় চলছে অভিনয় জগতের। দশ বারো দিনের মধ্যেই পরপর তিন তিনজন অভিনেত্রী এবং মডেলের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রথমে ১৫ মে পল্লবী দে (Pallabi Dey), তারপর ২৫ মে বিদিশা দে মজুমদার (Bidisha Dey Majumder) আর তার একদিন পরেই আরেকজন মডেল মঞ্জুষা নিয়োগীর দেহ উদ্ধার হয়। তিন জনের রহস্য মৃত্যুতেই একটা জিনিস কমন। প্রত্যেকেরই ফ্ল্যাট থেকে দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয়েছে ঝুলন্ত দেহ।
বিষয়টা নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। এদিন বসিরহাটের এক নম্বর ব্লকের সোলাদানা বাজারে রক্তদান শিবিরে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে নুসরত বলেন, মডেল অভিনেত্রীদের এমন পরিণতির কারণ উচ্চাকাঙ্খা।
তাঁর মতে, নতুন প্রজন্মের অভিনেতা অভিনেত্রীরা বিলাসিতায় ডুবে থাকে। তাঁদের অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্খা। যখন সেই শিখরটা ছুঁতে পারেন না তখনি শুরু হয় মানসিক যন্ত্রণা। আর তা থেকে মুক্তি পেতেই তাঁরা বেছে নিচ্ছেন আত্মহত্যার মতো চরম পথ।
নুসরত বলেন, পরপর এমন তরুণ প্রজন্মের অভিনেতা অভিনেত্রীদের মৃত্যুর ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এমন পথ যেন কেউ কখনো বেছে না নেয়, তেমনটাই প্রার্থনা করেছেন অভিনেত্রী তথা বসিরহাটের সাংসদ নুসরত।
প্রসঙ্গত, সর্বপ্রথম ১৫ মে পল্লবী দে এর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে। গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যা বললেও প্রেমিক তথা লিভ ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ এনেছেন অভিনেত্রীর বাবা মা।
অন্যদিকে বিদিশার মৃত্যুর ঘটনাতেও উঠে এসেছে সম্পর্কের টানাপোড়েনের দিক। বিদিশার বান্ধবী দিয়া জানিয়েছেন গত পাঁচ মাস ধরে নাকি অনুভব বেরা নামে একজনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, বিদিশার সঙ্গে তাঁর নিয়মিত কথা হত। এমনকি মৃত্যুর আগের দিনও কথা হয়েছিল দুজনের হোয়াটসঅ্যাপে। সংবাদ মাধ্যমকে সেই কথোপকথন দেখিয়েছেন দিয়া।
সেখানে বিদিশা লিখেছিলেন, প্রেমিক অনুভবকে তিনি খুব ভালবাসেন। তাঁকে ছাড়া বাঁচবেন না। এদিকে দিয়ার দাবি, অনুভবের নাকি একাধিক সম্পর্ক ছিল। আর সেকথা জানার পর থেকেই ভেঙে পড়েছিলেন বিদিশা। সাম্প্রতিক মঞ্জুষা মৃত্যুর ঘটনাতে জানা গিয়েছে, তিনি নাকি বিদিশা এবং পল্লবী দুজনকেই চিনতেন। তিনজনের পরসর মৃত্যুর ঘটনা রহস্য এবং আতঙ্ক দুটোই বাড়িয়ে দিয়েছে টেলিপাড়ায়।