বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) জেরে বহুদিন জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। গত বছর জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির হাতে গ্রেফতার হন তিনি। পার্থর গ্রেফতারির পরই দল সমস্ত পদ থেকে তড়িঘড়ি তার নাম মুছে দেয়। তবে তারপরেও এককালের দুঁদে নেতার দাবি, তৃণমূলে (Trinamool Congress) আজও তার স্থান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই।
অন্যদিকে, গত মঙ্গলবার তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয় নিয়োগ দুর্নীতির ওপর দুই অভিযুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Santanu Banerjee) এবং কুন্তল ঘোষকে(Kuntal Ghosh)। নিয়োগ দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে এই দুই যুব নেতার ইডি (ED) হেফাজতের মধ্যেই মঙ্গলবার দুপুরে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এই ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, কুন্তল গ্রেফতারের ৫২ দিন পর, আর শান্তনুকে গ্রেফতারের ৫ দিনের মধ্যেই দল তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবার এই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলে বলেন, ওই দুই যুবনেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করতে কেন এত দেরি হল? পাশাপাশিই পার্থর দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে কোনোভাবেই তিনি জড়িত নন।
শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি সিবিআইয়ের মামলায় বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে তোলা হয়। আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্থ বলেন, ‘‘আমি তৃণমূলে আছি এবং থাকব। দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই আমার স্থান। আমি কুন্তলকে চিনি না। কিন্তু শান্তনুকে চিনি। দলের একটা বড় পদে ছিল। কিন্তু ওদের দু’জনকে বহিষ্কার করতে এত সময় লাগল কেন, তা বুঝে উঠতে পারছি না।’’
পাশাপাশি কুন্তল ও শান্তনুকে বহিষ্কারের সময় রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার মন্তব্যেরও সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, ‘‘কী সব বলা হচ্ছে! পার্টি অফিস থেকে টাকা উদ্ধার হয়নি। এ সব কী বক্তব্য! আমি কিছুই বুঝতে পারছি না! পার্টি অফিস থেকে টাকা উদ্ধার হতে যাবে কেন? ওই প্রসঙ্গ উঠবেই বা কেন?”
এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়েছেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাকে সংগঠন থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। তাই এখন তার বক্তব্যে দলের কী বলার থাকতে পারে? তবে তিনি নিজের আইনি লড়াই লড়বেন, এটাই প্রত্যাশা করতে পারি।’’