তিন মাসও কাটল না, নিজের দেশেই গণবিক্ষোভের মুখে ট্রাম্প, নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ল কে?

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রথম সরকারের ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় বারে দ্বিগুণ শক্তি এবং জনসমর্থন নিয়ে ফিরেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। বিরোধীদের কার্যত ফুৎকারে উড়িয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য আমেরিকার মসনদে বসেন তিনি। মার্কিন জনগণ বিপুল আস্থা নিয়েই দ্বিতীয় বারের জন্য ট্রাম্পকে (Donald Trump) ফিরিয়েছিলেন সিংহাসনে। কিন্তু ফিরতে না ফিরতেই তিনি এমন খেল দেখাতে শুরু করেছেন যে কার্যত মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে আমেরিকানদের। সরকারের তিন মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই নিজের দেশে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) বিরুদ্ধে রোষ আমেরিকায়

কিছুদিন আগেই যে শুল্ক বোমা ফেলেছেন ট্রাম্প (Donald Trump), তাতে শুধু বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারাই নয়, আমেরিকাবাসীরাও রীতিমতো ক্ষুব্ধ। ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধের কারণে বড়সড় ধাক্কা খেতে চলেছে মার্কিন অর্থনীতি। একগুচ্ছ দেশে শুল্কের হারে রদবদল ঘটিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বেশ কিছু দেশে শুল্কের হার বেড়েছে। এমনকি জনবসতিহীন পেঙ্গুইনদের এলাকাও ছাড় পায়নি। এ নিয়ে ইতি মধ্যেই বিশ্বের একটা বড় অংশে পড়ে গিয়েছে শোরগোল। বিক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়েছে আমেরিকার অন্দরেও, যা বিষ্ফোরণ হল শনিবার।

Protest against Donald Trump in America

বিভিন্ন শহরে চলে প্রতিবাদ: এদিন প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ ট্রাম্পের (Donald Trump) বিরুদ্ধে প্রতিবাদে পথে নামেন। নিউ ইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন, ফ্লোরিডা, হিউস্টন, কলোরাডো, লস অ্যাঞ্জেলস, ম্যানহ্যাটনের মতো জায়গায় চলে ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ। প্রতিবাদী প্ল্যাক্যার্ড নিয়ে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যায় মানুষজনকে। এই দু আড়াই মাসেই নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় খাড়া করেছেন ট্রাম্প (Donald Trump)।

আরো পড়ুন : চার দিনের মাথায় ফের মর্মান্তিক মৃত্যু, প্যারা জাম্প প্রশিক্ষণে প্রাণ গেল ভারতীয় বায়ুসেনা অফিসারের

কী অভিযোগ জনতার: সরকারে বসেই প্রচুর কর্মী ছাঁটাই থেকে তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতিকে অস্বীকার করা, গর্ভপাত বিরোধী নীতির মতো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অনেকে অভিযোগ করেছেন। কয়েকজনের দাবি, সুবিধা পেয়ে আসা শ্বেতাঙ্গরা দেশের সরকারে বসে দেশটাকে ধ্বংস করছেন। এমনকি ‘ফ্যাসিবাদী সরকার’, ট্রাম্পকে (Donald Trump) ‘বদ্ধ উন্মাদ’ বলতেও পিছপা হননি অনেকেই। বিক্ষোভ হয়েছে ইউরোপের একাধিক জায়গাতেও। উল্লেখ্য, নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু তথা মার্কিন সরকারের অন্যতম কর্মী এলন মাস্কের কথাতেও একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প।

আরো পড়ুন : দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, অবশেষে বাংলায় এল ইন্ডিয়ান আইডল ট্রফি! কে জিতলেন সেরার শিরোপা?

প্রসঙ্গত, এর আগে ‘ট্রাম্প ১.০’ সরকারের সময় প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ওয়াশিংটনে। এবারে সমীক্ষা বলছে, যে হারে জনসমর্থন নিয়ে ট্রাম্প মসনদে বসেছিলেন, বিগত দু মাসে তা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। তবুও মাথা নোয়াতে নারাজ প্রেসিডেন্ট। নীতি বদলাবেন না, সাফ কথা তাঁর।

Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর

X