বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পেগাসাস কান্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ সরব করেছেন মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই রাজ্যে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে দিয়ে গিয়েছেন ফোনে আড়িপাতা সংক্রান্ত কেলেঙ্কারি খতিয়ে দেখার জন্য। এবার কি জৈন হাওয়ালা (Jain Hawala) কেস নিয়ে তৎপর হলেন তিনি? তিন দশক আগের এই কেস নতুন করে মমতা ফিরিয়ে আনেন ২৮ জুন। ১৯৯৩ সাল থেকে এই মামলায় জন্য লড়ে যাচ্ছেন সাংবাদিক বিনীত নারায়ন (Vineet Narain)। তার সূত্র ধরেই বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের (Jagdeep Dhankar) উপর অভিযোগের তীর নিক্ষেপ করেন মমতা।
সেদিন সংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “সেই সময়কার এক সাংবাদিক আমাকে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। ওই মামলায় নাম ছিল জগদীপ ধনখড়ের। এখনও একটি রিট পিটিশন পড়ে রয়েছে। তাতে ধনখড়ের নাম রয়েছে।” রাজ্যপাল এই তথ্য সম্পূর্ণ অস্বীকার করলেও মমতার পাশে সেদিন দাঁড়িয়েছিলেন সাংবাদিক বিনীত নারায়ন। রাজ্যপাল উল্লেখ করেছিলেন, ওই মামলায় কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় নি।
সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিনীত বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং রাজ্যপাল হিসেবে তাঁর মিথ্যা কথা বলা উচিত নয়। আমি তাঁকে প্রশ্ন করব, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে চলা জৈন হাওয়ালা মামলার অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ তিনি দিতে পারবেন কি?’’
এবার দিল্লি যেতে না যেতেই সেই বিনীত নারায়ণের সঙ্গেই বৈঠক করলেন মমতা। আজ অভিষেক ব্যানার্জীর (Abhishek Banerjee) ঘরে প্রায় এক ঘন্টা বৈঠক হয় বিনীত এবং মমতার। সেই সূত্র ধরেই অনেকেই মনে করছেন, পেগাসাসের (Pegasus) পর এবার কি তবে জৈন হাওয়ালা কান্ডে নজর দিলেন মমতা? প্রসঙ্গত বিনীত আগেই অভিযোগ করেছিলেন, জৈন ভাইদের ডায়েরিতে রাজ্যপাল তথা তৎকালীন প্রাক্তন মন্ত্রী ধনকরের বিরুদ্ধে ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার কথাটি উল্লেখ রয়েছে।
আর তাই এই এক ঘন্টার বৈঠকের পর অনেকেই মনে করছেন, ফের একবার উল্টানো হতে পারে এই কেসের পাতা। যদিও আগামী দিনে এই ঘটনা কোন দিকে মোড় নেয় তার উত্তর দেবে সময়ই। তবে রাজ্য রাজ্যপাল দন্দ্ব মোটের ওপর এই বাংলায় এক পরিচিত ঘটনা। তাই আগামী দিনে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে এই ঘটনা কিছু ব্যবহার করতে পারে তৃণমূল এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।