CAA আইন নিয়ে বিতর্কের মধ্যে সোনিয়া গান্ধী আরো একবার মুখ খুলেছেন। নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ভাঙচুর চালানো কট্টরপন্থীদের সমর্থন জানিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, সরকার জনগণের কণ্ঠকে দমন করছে।
গণতন্ত্রে জনসাধারণের কণ্ঠকে দমন করা ভুল। জনগণের দাবি শোনা সরকারের দায়িত্ব। সোনিয়া গান্ধী বলেছেন যে বিজেপি সরকারের নীতিগুলি দেশবিরোধী। কংগ্রেস দেশের জনগণ এবং সংবিধানের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি সোনিয়া গান্ধী বলেন যে জনগণের কথা শোনানো সরকারের দায়িত্ব। এখন যা ঘটছে তা গণতন্ত্রে অগ্রহণযোগ্য।
তিনি আরও বলেছেন যে কংগ্রেস দল এর তীব্র নিন্দা করে। নাগরিকত্ব সংশোধন আইন পক্ষপাতে পরিপূর্ণ। কংগ্রেস সংবিধানের মর্যাদা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেখানে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে সমর্থন করার জন্য, বিজেপি কর্মীদের একটি বিশাল সংখ্যা আজ জয়পুরের রাস্তায় নেমে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে একটি সিভিল লাইনের গেট লাগিয়েছিল।
এই প্রতিবাদের কথা বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছিলেন যে পাকিস্তানে হিন্দুদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে যার কারণে হিন্দুরা ভারতে আসছেন, বেশিরভাগ শরণার্থী রাজস্থানে এসেছেন, তাই আমরা যোধপুরের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলোটকে সতর্ক করে দিয়েছি যে তিনি এই আইনের বিরোধিতা যেন না করেন।
জানিয়ে দি, দেশজুড়ে CAA এর বিরোধিতার নামে যে উৎপাত চলছে সেটাকে অনেকে কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন। দাবি করা হয়েছে কংগ্রেস পার্টি কট্টরপন্থীদের উস্কানি নিয়ে দেশে দাঙ্গা লাগানোর প্রয়াস করছে। এর সাপেক্ষে বেশকিছু হোয়াটসআপ্প গ্রূপের সন্ধান মিলেছে বলেও দাবি উঠেছে। কেন্দ্র সরকারকে চাপে ফেলতে কংগ্রেস ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে লুঙ্গি বাহিনী গত কয়েকদিন ধরে বেশ উৎপাত চালিয়েছে। প্রায় ১০০ কোটি টাকার রেলের সম্পত্তি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এই উৎপাত উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লীতে করার জন্য রাস্তায় নেমেছিল কট্টরপন্থীরা। আর এখন এই কট্টরপন্থীদের সরাসরি সমর্থন জানালেন সোনিয়া গান্ধী।