বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘দাদাগিরি’র (dadagiri) মঞ্চ মানেই কুইজ খেলার পাশাপাশি একরাশ হাসি, মজা, আনন্দ। ক্রিকেটের বাইশ গজের বাইরে একদম অন্য এক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (sourav ganguly) দেখা মেলে। কচিকাঁচাদের থেকে শুরু করে বড়রা, সব প্রতিযোগীদের সঙ্গেই হাসিমুখে মিশে যান তিনি। সম্প্রতি ক্রিসমাস উপলক্ষে সৌরভের সঙ্গে খেলতে এসেছিল দেব (dev) অভিনীত ‘টনিক’ ছবির গোটা টিম।
এদিন খেলার ফাঁকে দেব ‘দাদা’কে জিজ্ঞাসা করেন, তাঁর জীবনের টনিক কী? উত্তরে সৌরভ জানান, আগে তাঁর টনিক ছিল ক্রিকেট। কিন্তু তাঁর জীবনের টনিক তিন জন। তাঁর মা, স্ত্রী ও মেয়ে। তিনজনের মধ্যে আবার মেয়ে সানার নাম সবার আগে আসবে। তারপরেই সৌরভের রসিকতা, “মেয়ে যদিও এখন আর পাত্তা দেয় না। ২০ হয়ে গিয়েছে তো!”
সৌরভের কথা শুনে হাসির ফোয়ারা দাদাগিরির সেট জুড়ে। দেব নিজের জীবনের টনিকের ব্যাপারে বলতে গিয়ে জানালেন, সিনেমা হলের বাইরে নিজের ছবির পাশে হাউজফুল বোর্ড দেখাটাই তাঁর টনিক। সঙ্গে সঙ্গে পাশ থেকে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুটুস মন্তব্য, “আসল টনিকটার নাম বলছে না!” বর্ষীয়ান অভিনেতার ইশারা বুঝতে পেরেই সলজ্জ হাসি দেবের মুখে।
এর আগে ‘দাদাগিরি’র মঞ্চ থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে পাশে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ ভিডিও বার্তায় টনিকের প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল দেবকে। ছবির জন্য অভিনেতা ও পরিচালককে শুভেচ্ছা জানান সৌরভ। তখনি দেব বলেন, তাঁর বাড়িতেও সকলে মনে করেন সৌরভ বলা মানেই ছবি হিট হবে। তাঁর নিজের মতেও ছবির প্রচার শুরু বা শেষ ‘দাদাগিরি’ দিয়েই হওয়া উচিত। আর তিনি সেটাই করেন।
উত্তরে সৌরভ বলেন, “দেব অনেকগুলো ছবি করে। কিন্তু যেটা স্পেশ্যাল ছবি হয় সেটা দাদাগিরিতে এসে প্রোমোট করে। নাহলে কিন্তু দাদা ওকে ছাড়বে না! কোনো সিজন গ্যাপ রাখা যাবে না।