বাংলাহান্ট ডেস্ক: অপেক্ষা আর দুশ্চিন্তার অবসান অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের (Sreelekha Mitra)। মেয়ের ICSE পরীক্ষার ফলাফল বেরিয়েছে। স্টার মার্কস নিয়ে পাশ করেছে মাইয়্যা (Maiya Sanyal)। ৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন শ্রীলেখা তনয়া। আনন্দের চোটে মা ফেসবুক পোস্টিয়ে দিয়েছিলেন ফলাফল। জুটল মেয়ের বকা!
কাঁচুমাচু মুখে শ্রীলেখা জানালেন, মেয়ের হুকুম এসেছে। তাই পোস্ট সরেছে। ICSE পরীক্ষার ফলাফল বেরিয়েছে সম্প্রতি। শ্রীলেখার একমাত্র মেয়ে মাইয়্যাও এবার জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসেছিলেন। সাফল্যের সঙ্গে উতরেও গিয়েছেন প্রথম ধাপ। কিন্তু তারকা হোক বা আমজনতা, মা-দের চিন্তা তো হয়ই।
ফলাফল বেরোনোর আগের দিন শ্রীলেখাও মনের চিন্তা শেয়ার করেছিলেন নেটমাধ্যমে। জানিয়েছিলেন, মেয়ের রেজাল্টের চিন্তায় তাঁর বুকের মধ্যে ধকধক হচ্ছে। কিন্তু মায়ের চিন্তা দূর করে মুখে হাসি এনে দিয়েছে মাইয়্যা। ৯৫ শতাংশ নম্বর দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে সুখবরটা গর্ব করে জানিয়েছিলেন সবাইকে।
তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সরে যায় সেই পোস্ট। নতুন বার্তা দেন শ্রীলেখা। লেখেন, ‘আগের পোস্টটা আর্কাইভ করলাম মেয়ের হুকুমে। আরো বেশি আশা করেছিল। কোনোকিছুতেই এরা খুশি নয়। আমি হলে তো ধেই ধেই করে নাচতাম এত নম্বর পেয়ে।’
কমেন্ট বক্সে একজন নিজেকে শিক্ষিকা পরিচয় দিয়ে লিখেছেন, এই নম্বরগুলো ভবিষ্যতে তেমন কাজে লাগবে না। শ্রীলেখাও সমর্থন করে লিখেছেন, মাইয়্যা খুব খেটেছিল। কিন্তু এত নম্বর পেয়েও মন খারাপ করাটা একটু বিরক্তিকর। আরেকজন বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, ৯৫ শতাংশ পেয়েও আরো আশা ছিল! শ্রীলেখার উত্তর, হ্যাঁ ঢং নয়?
এমনিতে নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় থাকলেও মেয়ের ছবি খুব কমই শেয়ার করেন শ্রীলেখা। আসলে মাইয়্যা বেশি ছবি তুলতে পছন্দ করেন না। এর আগে একবার শ্রীলেখা জানিয়েছিলেন, তাঁর যখন বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তখন মাইয়্যার বয়স মাত্র ৮।
অথচ ওই বয়সেই বাবা মাকে আলাদা থাকতে দেখে যেন অনেকটা বড় হয়ে গিয়েছিল সে। শ্রীলেখা বা শিলাদিত্য কারোর কাছেই থাকতে আটকানো হয়নি মাইয়্যাকে। বাবা মায়ের বিচ্ছেদ নিয়ে কিছু না বললেও মাঝে মাঝে নিজের ব্যাগ নিজেই গুছিয়ে কিছুদিন বাবার কাছে থাকতে যেত সে। সিঙ্গল মাদার হওয়া সহজ ছিল না। কিন্তু মাইয়্যা বড় হয়ে মুখ উজ্জ্বল করছে শ্রীলেখার।