বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের নতুন মামলা, ফের স্থগিত নিয়োগ। দীর্ঘ ৮ বছরের আইনি জট কাটিয়ে অগস্ট মাসে উচ্চ প্রাথমিকে (SSC Upper Primary Recruitment) ১৪,০৫২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ( Calcutta High Court)। যা নিয়ে আশায় বুক বাঁধছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। পুজোর আগেই নিয়োগের জোড়ালো সম্ভাবনা ছিল। তবে এরই মাঝে কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) নয়া মামলা।
সূত্রের খবর, হাইকোর্টের নিয়োগের নির্দেশ সংরক্ষণ নীতির বিরোধী, এই দাবি তুলে সুপ্রিম কোর্টে যান বেশ কিছুজন চাকরিপ্রার্থী। দায়ের হয় মামলা। চলতি সপ্তাহেই সর্বোচ্চ আদালতে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত হাইকোর্টে আইনি জটে আট বছর ধরে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগপ্রক্রিয়া আটকে ছিল।
২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকের ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্য সরকার। SSC বলেছিল প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণদের পরীক্ষায় বসার যোগ্য। সেই নিয়েই শুরু হয় টানাপোড়েন। এরপর হাইকোর্টে মামলা গেলে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য গোটা মেধাতালিকা বাতিল করে নতুন মেধাতালিকা তৈরির জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দেন।
সেই মতো ২০২১ সালে কমিশন জানায়, ওএমআর শিটগ পুনরায় মূল্যায়ন করে ১ হাজার ৪৬৩ জনকে ওই মেধাতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশের বিরোধিতা করেই এই বাদ পড়া প্রার্থীরা ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। একাধিক মামলায় যুক্ত হন তারা। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা উঠলে আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই ১ হাজার ৪৬৩ প্রার্থীকে যে প্রক্রিয়ায় বাদ দেওয়া হয়েছিল তা সঠিক ছিল না, বাদ পড়া ১,৪৬৩ জনকে মেধাতালিকায় সংযুক্ত করতে হবে বলে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ‘তদন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে’! আরজি কর মামলায় আর কী কী বললেন প্রধান বিচারপতি?
গত ২৮ অগস্ট বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের রায় ছিল, ৪ সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ মেরিট লিস্ট অর্থাৎ মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। চার সপ্তাহের মধ্যে ১৪,০৫২ জনের কাউন্সেলিং করতে হবে বলেও নির্দেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি কাউন্সেলিংয়ের পর যোগ্য প্রার্থীদের দ্রুত সুপারিশপত্র দিতে হবে। হাইকোর্টের রায়ের পর খুশিতে ভাসছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। এসএসসিও জানিয়েছিল, তারা হাইকোর্টের দেওয়া ডেডলাইনের আগেই সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন। এরই মাঝে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে হল মামলা।