বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুর্গাপুজোর পর কালী পুজোতেও হতে পারে দুর্যোগ। অক্টোবরের মাঝামাঝি বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলেছে ঘূর্ণাবর্ত। এটি শক্তি বৃদ্ধি করে উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় হিসাবে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই নতুন ঘূর্ণিঝড়ে নাম দেওয়া হয়েছে “সিতরাং।”
সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, কানাডার সাসকাচোয়ান ইউনিভার্সিটির আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তাফা কামাল পলাশ দাবি করেছেন, বঙ্গোপসাগরে আগামী ১৭ ই অক্টোবর তৈরি হতে পারে একটি নিম্নচাপ।১৮ ই অক্টোবরের মধ্যে এই নিম্নচাপটি আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে।২৫ শে অক্টোবরের মধ্যে নিম্নচাপটি পরিণত হবে একটি সুপার সাইক্লোনে। যদিও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো সতর্কতা জারি করেনি দিল্লীর মৌসম ভবন
আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তাফা প্রথমে জানিয়েছিলেন যে এই ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের সুন্দরবন উপকূল ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের মধ্যবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে। গত রবিবার এই পূর্বাভাস বদল করে বলা হয়েছে যে ঘূর্ণিঝড়টি অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় ল্যান্ডফল করতে পারে। অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড়টি নির্দিষ্ট কোথায় আছড়ে পড়বে সে বিষয়ে এখনো কোনো সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারেননি গবেষকরা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন,”সিতরাং” নামক সাইক্লোনটির প্রায় ২২০ থেকে ২৫০ কিমি প্রতি ঘন্টা গতিবেগ হতে পারে। এই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় জোয়ারের জেলে জল ১৫ থেকে ২০ ফুটের মতো উঠতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। অর্থাৎ এই ভবিষ্যৎ বাণী যদি সত্যি হয়, তাহলে ২০২০ সালের “আম্ফান” কেও ছাড়িয়ে যেতে পারে “সিতরাং”।
প্রসঙ্গত , অন্ধ্রপ্রদেশে গত মে মাসে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় “অশনি।” এরপরে নামকরণ অনুযায়ী সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের নাম সিতরাং। এই ঝড়ের নামটি দিয়েছে থাইল্যান্ড। এর পরবর্তী সময়ে নানান প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটলেও সাইক্লোনের মতো কোনো পরিস্থিতি উৎপন্ন হয়নি। এরই মধ্যে, পূর্ব ভারতে সাইক্লোন আসার সম্ভাবনা চিন্তা বাড়িয়েছে সবার মনে।