বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সার্জারির (surgery) ডিগ্রি ছাড়াই সন্তান প্রসব করালেন এক চিকিৎসক। সদ্যোজাত জন্ম নিলেও, তাঁর জন্মদাত্রী মা চলে গেলেন কোমায়। নিজেকে স্ত্রীরোগ বিভাগের বিশেষ চিকিৎসক বলে পরিচয় দিয়েই ওই অন্তঃসত্ত্বা তরুণীর অস্ত্রোপচার করেন ওই চিকিৎসক। ঘটনার বিবরণ শুনে এবং অভিযোগ খতিয়ে দেখে, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে স্বাস্থ্য কমিশন।
রিপন স্ট্রিটের একটি নার্সিংহোমে মাস তিনেক আগে ভর্তি হন আমহার্স্ট স্ট্রিটের বাসিন্দা বছর ৩০-এর সুলতানা খাতুন। সন্তান প্রসবের কারণে তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁকে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করায়। ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক যে মহিলা তাঁর এমবিবিএস ডিগ্রি থাকলেও, অস্ত্রোপচারের ডিগ্রি অর্থাৎ এমএস বা মাস্টারস ইন সার্জারির ডিগ্রি ছিল না।
তা সত্ত্বেও রোগীর পরিবারের কাছে সবকিছু গোপন রেখে তিনি অন্তঃসত্ত্বার অস্ত্রোপচার করান। অস্ত্রোপচারের পর সুষ্ঠভাবে সন্তান জন্ম নিলেও, সুলতানার ব্যাপক রক্তক্ষরণ হতে থাকে। তৎক্ষণাৎ তাঁকে ব্রড স্ট্রিটের একটি নার্সিংহোমে পাঠানো হলেও, তাঁর শারীরিক অবস্থার কোন উন্নতি হয় না।
সেখান থেকে তাঁকে সল্টলেক আমরি হাসপাতালে রেফার করা হয়। আর সেখানে গিয়ে হাসপাতালের বিল দাঁড়ায় ২০ লক্ষের কাছাকাছি। সুলতানার পরিবারের কাছে অত টাকা টাকা না থাকায় তারা বাড়ি বিক্রি করে মাত্র ১০ লক্ষ টাকা মেটাতে পারে। বেসরকারি হাসপাতালের বিপুল বিলের ভারে সুলতানাকে কোমারত অবস্থাতেই বর্তমানে SSKM হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সুলতানার স্বামী জানিয়েছেন, ‘নার্সিংহোমের ওই মহিলার সার্জারির ডিগ্রি ছিল না, উনি আমাদের মিথ্যে কথা বলেছিলেন। ঠিকমত সার্জারি করতে না পারায় আমার স্ত্রী এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। আবার বেসরকারি হাসপাতালের বিপুল চিকিৎসার খরচও আমাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়’।